অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় বেঁধে নদী পেরোলেন অসহায় বাবা

কালাহান্ডি থেকে ধুবড়ি। দানা মাঝি থেকে হাসমত আলি। ছবিটা এক। দানা মাঝি তাঁর মৃত স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন দীর্ঘ পথ। ধুবড়ি দেখল সেই একই ছবি। বহু কাকুতি মিনতি করেও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না পেয়ে অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় বেঁধে নদী পেরোলেন অসহায় বাবা। খেলতে গিয়ে হাত ভেঙে যায় হাসমতের কিশোর ছেলের। গুয়াহাটিতে এসেছিলেন চিকিত্সা করাতে। সব টাকা শেষ। অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চেয়েও পাননি হাসমত। শেষপর্যন্ত অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় দড়ি দিয়ে বেঁধে এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দেন তিনি। ব্রহ্মপুত্র পেরিয়ে ফেরেন ধুবড়ির বাড়িতে। নিদারুণ এই ছবি ফের জন্ম দিল বহু প্রশ্নের। অসুস্থ ছেলের চিকিত্সা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত বাবা। ছেলেকে বাড়ি ফেরাতে অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও মেলেনি পরিষেবা। সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউই। বাধ্য হয়েই খাটিয়ায় চাপিয়ে অসুস্থ ছেলেকে কাঁধে বইলেন হতদরিদ্র বাবা। পেরোলেন ব্রহ্মপুত্রও। অসুস্থ ছেলেকে নৌকায় চাপিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বোধহয় নদীর কাছে এই প্রশ্নই করছিলেন হাসমত আলি। বুকফাটা কষ্ট। ছেলের চিকিত্সা করাতে গিয়ে সব টাকা শেষ। তবুও সুস্থ হয়নি কিশোর ছেলে।গুয়াহাটি থেকে ধুবড়ির বাড়ি ফিরতেও পদে পদে অসহায়তা। অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও মেলেনি। অগত্যা অসমের ধুবড়ির হাসমত আলির ছবিটা কোথায় যেন মিলিয়ে দিল কালাহান্ডির দানা মাঝির ছবির সঙ্গে।খেলতে গিয়ে হাত ভাঙে ছেলের। গুয়াহাটিতে এসেছিলেন চিকিত্সা করাতে। হতদরিদ্র বাবার সব সঞ্চয় শেষ। পয়সার অভাবে ছেলের অর্ধসমাপ্ত চিকিত্সার মধ্যেই ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পথে পাড়ি। অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় বেঁধে কাঁধে নিয়ে চললেন বাবা। নৌকায় চাপিয়ে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি।

Updated By: Apr 30, 2017, 08:47 PM IST
অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় বেঁধে নদী পেরোলেন অসহায় বাবা

ওয়েব ডেস্ক: কালাহান্ডি থেকে ধুবড়ি। দানা মাঝি থেকে হাসমত আলি। ছবিটা এক। দানা মাঝি তাঁর মৃত স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন দীর্ঘ পথ। ধুবড়ি দেখল সেই একই ছবি। বহু কাকুতি মিনতি করেও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না পেয়ে অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় বেঁধে নদী পেরোলেন অসহায় বাবা। খেলতে গিয়ে হাত ভেঙে যায় হাসমতের কিশোর ছেলের। গুয়াহাটিতে এসেছিলেন চিকিত্সা করাতে। সব টাকা শেষ। অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চেয়েও পাননি হাসমত। শেষপর্যন্ত অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় দড়ি দিয়ে বেঁধে এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দেন তিনি। ব্রহ্মপুত্র পেরিয়ে ফেরেন ধুবড়ির বাড়িতে। নিদারুণ এই ছবি ফের জন্ম দিল বহু প্রশ্নের। অসুস্থ ছেলের চিকিত্সা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত বাবা। ছেলেকে বাড়ি ফেরাতে অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও মেলেনি পরিষেবা। সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউই। বাধ্য হয়েই খাটিয়ায় চাপিয়ে অসুস্থ ছেলেকে কাঁধে বইলেন হতদরিদ্র বাবা। পেরোলেন ব্রহ্মপুত্রও। অসুস্থ ছেলেকে নৌকায় চাপিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বোধহয় নদীর কাছে এই প্রশ্নই করছিলেন হাসমত আলি। বুকফাটা কষ্ট। ছেলের চিকিত্সা করাতে গিয়ে সব টাকা শেষ। তবুও সুস্থ হয়নি কিশোর ছেলে।গুয়াহাটি থেকে ধুবড়ির বাড়ি ফিরতেও পদে পদে অসহায়তা। অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও মেলেনি। অগত্যা অসমের ধুবড়ির হাসমত আলির ছবিটা কোথায় যেন মিলিয়ে দিল কালাহান্ডির দানা মাঝির ছবির সঙ্গে।খেলতে গিয়ে হাত ভাঙে ছেলের। গুয়াহাটিতে এসেছিলেন চিকিত্সা করাতে। হতদরিদ্র বাবার সব সঞ্চয় শেষ। পয়সার অভাবে ছেলের অর্ধসমাপ্ত চিকিত্সার মধ্যেই ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পথে পাড়ি। অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় বেঁধে কাঁধে নিয়ে চললেন বাবা। নৌকায় চাপিয়ে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি।

আরও পড়ুন মাত্র তিন মিনিটে নতুন রেলপ্রকল্পের অনুমোদন আদায় করলেন নবীন পট্টনায়েক
 
হাসমত আলি কাঁধে বইলেন তাঁর অসুস্থ ছেলেকে। আর ওড়িশার কালাহান্ডির দানা মাঝি দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে। পাশে চোখের জল ফেলতে ফেলতে তাঁর কিশোরী মেয়ে। কিছুদিন আগে অসমের মাজুলিও দেখে একই ছবি। ১৮ বছরের ভাইয়ের দেহ সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় দাদা।রাস্তা নেই। ভাঙাচোরা সাঁকো। সেই সাঁকোতেই ভাইয়ের দেহ নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় দাদাকে। সভ্য সমাজের করুণ ছবি। প্রদীপের নিচেই অন্ধকার। বারবার খবরের শিরোনামে কখনও দানা মাঝি, কখনও হাসমত আলি। তবুও ঘুম ভাঙে না সমাজের মাথাদের।

আরও পড়ুন  উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির সফরসঙ্গী জি মিডিয়া রিজিওনালের সিইও জগদীশ চন্দ্র

.