মরশুমের প্রথমে তুষারপাত মুসৌরিতে, আহ্লাদে আটখানা পর্যটকরা
এ বরফ দেখলে কে না আহ্লাদে আটখানা হবে! কে না বরফে ভিজবে! তুষারের মোহ মাখা দিনে শরীর জুড়ে উত্সবের বন্যা। উত্তরাখণ্ডের মুসৌরি দেখল মরশুমের প্রথম বরফপাত। সাদা বৃষ্টি মেখে পর্যটকদের আহ্লাদ যে আর ধরে না
নিজস্ব প্রতিবেদন: খুলে দাও বরফের আল্পনা আঁকা হোটেলের সমস্ত জানালা...আমাকে আবৃত করে আজ শুধু বরফ ঝরুক... সারাদিন... সারাদিন, আজ শুধু বরফের সাথে খেলা। বরফ ঠেলে আর তুষার ভেঙে আর দু-ঠোঁটে রোদ নিয়ে আমার কুঁড়েঘরে এ-ঘন শীতে কেউ আসুক।
আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কমলনাথ
Mussoorie will soon be at its best...blanketed in snow pic.twitter.com/tWou9TEftj
— Vinayak Jain (@vinayak_jain) December 12, 2018
এ বরফ দেখলে কে না আহ্লাদে আটখানা হবে! কে না বরফে ভিজবে! তুষারের মোহ মাখা দিনে শরীর জুড়ে উত্সবের বন্যা। উত্তরাখণ্ডের মুসৌরি দেখল মরশুমের প্রথম বরফপাত। সাদা বৃষ্টি মেখে পর্যটকদের আহ্লাদ যে আর ধরে না। গরমের পোশাকে শরীর ঢেকে তুষারবৃষ্টিতে ভিজল আট থেকে আশি। উত্তরাখণ্ডের চামোলিও বরফের উল্লাসে সাদায় সাদা। যেদিকে চোখ যায়, শুধুই বরফ। পাহাড়ের কোলে শুধু জেগে আছে লাল, নীল, হলুদ পতাকারা। উত্তরাখণ্ডের ধানাউলটির পথ জুড়ে শুয়ে আছে বরফ। এক পরম অনুভূতির পথচলা।
Winter is here! #mussoorie #landour #firstsnowfall #Himalayas #india #winters pic.twitter.com/yJY6neN5RE
— Aditya Manral (@AdyManral) December 12, 2018
ঝাউবনের বুক চিরে আঁকাবাঁকা পথে, ওই অতল বাঁকে, হোটেলের লনে, হাট করে খুলে দেওয়া ফটকে খেলা করছে বরফের দল। হিমাচল প্রদেশের নারকান্ডা ঠিক যেন এক টুকরো সুইত্জারল্যান্ড। মাশোব্রার পথের রং চেনাই দুষ্কর। বাড়ির দেওয়াল, গাড়ির ছাদ পুরু বরফের চাদরে আষ্টেপৃষ্টে ঢাকা। তবুও কি থমকে থাকতে পারে জীবন। তাই ওই কনকনে ঠান্ডার মাঝেও চলছে নিত্য যাপন।
First #snowfall of the season. Pride of our #Uttarakhand #Mussoorie pic.twitter.com/TqoIHB2RbP
— Mamta Bhatt (@mamtabhatt) December 12, 2018
আরও পড়ুন- নয়া গভর্নর নিয়োগ ‘শক্তিশেলের’ কাজ করল শেয়ার বাজারে, উর্ধ্বমুখী সেনসেক্স-নিফটি
সিমলার কাছে কুফিরর এ ছবি দেখলে এক্ষুনি ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে তো? শীতের আলোয়ান গায়ে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে আনমনে পড়ে থাকা বরফমাখা রাস্তায় অনেকটা পথ হেঁটে যাওয়া। আসলে তুষারপাতে অনেক রাস্তা বন্ধ। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ট্রাক। এ এক অন্য সিমলা। যেখানে এখন শুধুই বরফ নিয়ে খেলা। পাইনের পাতায় তুষারমাখা হিল্লোল। শুভ্র বৃষ্টিতে প্রাণখোলা উচ্ছ্বাস। গাছের পাতায় থোকা থোকা বরফফুল। পাহাড়ের গায়ে জেগে থাকা ঘরবাড়িতেও যেন এক নতুন উদ্যম। এমন বরফপাত বহুদিন দেখেনি সিমলা।