যোগী রাজ্যে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের 'মাংস ধর্মঘট'
মাংস ধর্মঘট। যোগী রাজ্যে অবৈধ কসাইখানার উপর নিষেধাজ্ঞার খাড়া নেমে আসার প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে আজ (সোমবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামলেন মাংস বিক্রেতারা। ধর্মঘটীদের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের সঙ্গে এই ধর্মঘটে যোগ দেবেন রাজ্যের মাছ ব্যবসায়ীরাও। ঘর্মঘটে অংশগ্রহণকারী লখনউ বক্রা গোস্ত ব্যাপার মণ্ডলের তরফে মুবীন কুরেশি জানিয়েছেন, "আগামী কাল থেকে আমরা ধর্মঘটকে চরম জায়গায় নিয়ে যাব। সব দোকানই বন্ধ থাকবে। মাছ বিক্রেতারা ইতিমধ্যেই আমাদের সমর্থন করেছেন"। এর পাশাপাশি কুরেশি এও জানিয়েছেন যে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা বিপন্ন করে তুলেছে। ফলে, তাঁদের তরফে অদূর ভবিষ্যতে এই ধর্মঘট প্রতিবাদ তুলে নেওয়ার কোনও সম্ভবনাই নেই।
ওয়েব ডেস্ক: মাংস ধর্মঘট। যোগী রাজ্যে অবৈধ কসাইখানার উপর নিষেধাজ্ঞার খাড়া নেমে আসার প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে আজ (সোমবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামলেন মাংস বিক্রেতারা। ধর্মঘটীদের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের সঙ্গে এই ধর্মঘটে যোগ দেবেন রাজ্যের মাছ ব্যবসায়ীরাও। ঘর্মঘটে অংশগ্রহণকারী লখনউ বক্রা গোস্ত ব্যাপার মণ্ডলের তরফে মুবীন কুরেশি জানিয়েছেন, "আগামী কাল থেকে আমরা ধর্মঘটকে চরম জায়গায় নিয়ে যাব। সব দোকানই বন্ধ থাকবে। মাছ বিক্রেতারা ইতিমধ্যেই আমাদের সমর্থন করেছেন"। এর পাশাপাশি কুরেশি এও জানিয়েছেন যে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা বিপন্ন করে তুলেছে। ফলে, তাঁদের তরফে অদূর ভবিষ্যতে এই ধর্মঘট প্রতিবাদ তুলে নেওয়ার কোনও সম্ভবনাই নেই।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পরই 'প্রতিশ্রুতি মতো' অবৈধ কসাইখানার ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তার জেরে ইতিমধ্যেই 'তুন্ডে কাবাব'-এর মতো দোকানকে ব্যবসায়িক দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এই দোকানের বিখ্যাত মহিষের কাবাব খেতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এমনকি বিদেশি খাদ্যরসিক পর্যটকরা পর্যন্ত আসতেন। অবৈধ কাসাইখানার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা নেমে আসায় সেই 'সুস্বাদু' মহিষের কাবাব আজ ইতিহাস। 'তুন্ড'-এর পক্ষ থেকে তাদের সবক'টি শাখাতেই নোটিসবোর্ড ঝুলিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কেবল 'মাটন' ও 'চিকেন'ই পাওয়া যাবে তাদের দোকানে।
এদিকে বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা জারি করে উত্তরপ্রদেশ সরকার কেবল আদালতের রায়কেই মান্যতা দিয়েছে। আর বৈধ মাংস ব্যবসায়ীদের এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। তাঁরা নির্ভয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া এও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, অবৈধ কসাইখানাগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা মোটেই কোনও ধর্মীয় পদক্ষেপ নয়, বরং পরিচ্ছন্নতা ও জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই নির্দেশ জারি হয়েছে। তবে, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এটাও বলেছেন যে, রাজ্য জুড়ে সার্বিকভাবে যদি তেমন কোনও বৃহত্ সমস্যা সৃষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমধান খুঁজবে। (আরও পড়ুন- 'ডিজিধন' হয়ে উঠেছে মানুষ, 'মন কি বাত'-এ প্রশংসায় মোদী!)