“ক্রমাগত বদলির হুমকি আসছে”, সত্যপালের বিস্ফোরক মন্তব্যে বিপাকে বিজেপি
কোন দলই সরকার গড়তে না পারায় গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভেঙে দেন সত্যপাল মালিক। তবে, গর্ভনরের এই পদক্ষেপে তীব্র সমালোচনা করে পিডিপি, ন্যাশনাল কংগ্রেস, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দল
নিজস্ব প্রতিবেদন: গভর্নর সত্যপাল মালিকের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে রাজনৈতিক অস্থরিতা জোরালো হয়েছে উপত্যকায়। গোয়ালিয়রের এক অনুষ্ঠানে গভর্নর সত্যপাল বলেন, দিল্লির পথ চেয়ে বসে থাকলে সাজ্জাদ লোনকে সরকার গড়তে ডাকতাম। এমন নীতিজ্ঞান শূন্য কাজ আমি করিনি। আমাকে নিয়ে অনেকে সমালোচনা করলেও, আমি জানি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। সত্যপালের আরও বিস্ফোরক দাবি, রীতিমতো বদলির ‘হুমকি’ আসছে তাঁর কাছে। তবে, কোথা থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, গোয়ালিয়রে কংগ্রেস নেতা গিরিধারী লাল ডোগরার মৃত্যু বার্ষিকি অনুষ্ঠানে সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি সত্যপাল।
আরও পড়ুন- কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ শুরু মিজোরাম ও মধ্য প্রদেশে
কোন দলই সরকার গড়তে না পারায় গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভেঙে দেন সত্যপাল মালিক। তবে, গর্ভনরের এই পদক্ষেপে তীব্র সমালোচনা করে পিডিপি, ন্যাশনাল কংগ্রেস, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দল। সূত্রের খবর, সজ্জাদ লোনকে সরকার গড়ার জন্য গভর্নরের উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করছিল বিজেপি। সজ্জাদের পিপল’স কনফারেন্সের ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ২ বিধায়ক। তবে, বিজেপি (২৫) এবং অন্যান্য দলের সমর্থনে ম্যাজিক ফিগার জোগাড়ের আশ্বাস দিয়েছিলেন সজ্জাদ। লন্ডন থেকে হোয়াটস অ্যাপে সরকার গঠনের প্রস্তাব রাখেন তিনি। অন্য দিকে মেহবুবা মুফতি-ও ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানায়। মেহবুবা দাবি করেন, রাজ্যপালের অফিসে ফ্যাক্সের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এমন কোনও প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে এসে পৌঁছয়নি বলে জানান সত্যপাল। তাঁর মন্তব্য, সরকার গঠনের ইচ্ছা থাকলে সরাসরি এসে আবেদন জানাতে পারতেন মেহবুবা।
আরও পড়ুন- নাচতে নাচতে হঠাত্ স্টেজে আছড়ে পড়ল কিশোরী, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু, দেখুন ভিডিয়ো
বিজেপির ‘অঙ্গুলিহেলনে’ বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ বিরোধীরা করলেও, পরে রাজ্যপালের মন্তব্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের নয়া মোড় নেয়। রাজ্যপাল ঘোড়া কেনাবেচারও অভিযোগ তুলেছিলেন। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেন, সজ্জাদকে দিয়ে সরকার গঠনে কেন্দ্র যে রাজ্যপালের উপর চাপ সৃষ্ট করছিল, তা তাঁর মন্তব্যে সুস্পষ্ট। প্রকাশ্যে সত্যপালের এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা। অন্যদিকে সাজ্জাদ অভিযোগ করেছেন, মিডিয়ার সামনে তাঁর নাম নিয়ে রাজ্যপালের এই মন্তব্য অসম্মানজনক। এভাবে প্রত্যেক কাশ্মীরিকে দুর্নীতিপরায়ণ বলতে পারেন না তিনি।