মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে লাভবান দেশ, তথ্য তেমনটাই বলছে

Updated By: Aug 31, 2017, 09:14 PM IST
মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে লাভবান দেশ, তথ্য তেমনটাই বলছে

ওয়েব ডেস্ক: নোট বাতিল নিয়ে আরবিআই-এর রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দুর্নীতির অভি‌যোগ তুলেছেন পি চিদম্বরম। বুধবার আরবিআই-এর বার্ষিক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়, ৯৯ শতাংশ নোটই ফিরে এসেছে। তাহলে কি ব্যর্থ হল প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের উদ্দেশ্য? সরকারি পরিসংখ্যান অবশ্য অন্য কথা বলছে। 

নানাভাবে ব্যাঙ্কে পুরনো নোট জমা দিতে সক্ষম হয়েছেন কালো টাকার মালিকরা। কিন্তু তাঁরা পার ‌পাচ্ছেন না। বরং এবার শুরু হল নোটবন্দির দ্বিতীয় পর্ব। কালো টাকার কারবারিদের আসল দাওয়াই দিতে শুরু করেছে আয়কর দফতর ও ইডি। ইতিমধ্যেই সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলি চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা পড়েছে, সে ব্যাপারেও তথ্য রয়েছে সরকারের হাতে। বৃহস্পতিবার আয়কর দফতর জানিয়েছে,নোট বাতিলের পর ৯.৭২ লক্ষ মানুষ ২.৮৯ লক্ষ কোটি টাকা জমা করেছেন। ১৩.৩৩ লক্ষ অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা পড়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলি তাদের নজরে রয়েছে।

নোট বাতিলের পর কর আদায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের চার মাসেই ব্যক্তিগত কর জমার পরিমাণ বেড়েছে  ২৫ শতাংশ। গত অর্থবর্ষের একই সময়ে কর আদায় হয়েছিল ২.২৩ কোটি টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২.৭৯ কোটি। 

নোট বাতিলের আগে বাজারে অর্থ ছিল প্রায় ১৫.৪ লক্ষ কোটি টাকা। তার ৯৯ শতাংশই ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়। এটাও সাফল্য। পুরো অর্থই এবার করের আওতায় এল। আর সহজে করফাঁকি দেওয়া ‌যাবে না। ২৩ মে প‌র্যন্ত ৪০০টি বেনামি লেনদেন নজরে এসেছে আয়কর দফতরের। প্রতিটি লেনদেনই ৬০০ কোটির উপরে। 

শুধু তাই নয়, নোট বাতিলের পর ধরা পড়েছে দু লক্ষ ভুয়ো কোম্পানি। ৩ লক্ষেরও বেশি কোম্পানির লেনদেনের উপরে নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ লক্ষ কোম্পানিকে ইতিমধ্যেই কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ৩৭০০০ হাজার ভুয়ো কোম্পানি ধরা পড়েছে, ‌যারা হাওয়ালা ও কালো টাকার লেনদেনে জড়িত ছিল। শেয়ার বাজারে বন্ধ ১৬৩টি সংস্থার কেনাবেচা‌। 

আরও পড়ুন, মাত্র ১৮৪ টাকাই শিল্প সম্ভাবনায় চিনকে ভারতের পিছনে ফেলে দিতে পারে

.