গোপনীয়তা মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি পাওয়ায় কী আসে-‌যায় আম আদমির?

Updated By: Aug 24, 2017, 07:55 PM IST
গোপনীয়তা মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি পাওয়ায় কী আসে-‌যায় আম আদমির?

ওয়েব ডেস্ক: গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ব্যক্তি জীবনে গোপনীয়তা পেয়েছে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি। কেন্দ্রীয় সরকারের মত ছিল, সংবিধানে কোথাও ব্যক্তির গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার বলা হয়নি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে আপনার কী লাভ হল?

সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদে বাঁচার অধিকারের অঙ্গ গোপনীয়তার অধিকার। প্রশাসন কোনও ব্যক্তিকে বিনা কারণে ব্যক্তি জীবনের গোপন তথ্যপ্রকাশের জন্য চাপ দিতে পারে না। ইন্টারনেটে আপনি কী সার্চ করছেন, কী দেখছেন, তা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। তাতে কেউ নাক গলাতে পারে না। এমনকি সরকারও। তদন্তকারী সংস্থা বা পুলিশ সাধারণ মানুষের উপরে নজরদারি চালায়। এটাও ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। ‌‌এনিয়ে দেশের নিরাপত্তা জড়িত বলে একটা প্রশ্ন থেকে ‌যাচ্ছে।

আর্থিক লেনদেনে সরকার ‌যে আধার কার্ডকে ‌যুক্ত করেছে, তা বহাল থাকবে কিনা,তবে আজকের রায় থেকে এটা স্পষ্ট হল না। আধারে হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিতে পারে আদালত। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ অনু‌যায়ী সমকাম অপরাধ। আবার সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশ অনুসারে ব্যক্তির গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেউ তার ‌যৌন প্রবণতা প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। বিপরীতক্রমে মৌলিক অধিকারের বিধি মেনে স্বাধীনভাবে সঙ্গী নির্বাচনের অধিকার রয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের। এই ‌যুক্তিতেই ৩৭৭ ধারা বিলোপের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টেরই আগের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হতে পারে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ‌যুক্তি এক্ষেত্রেও অকাট্য। এমনই অনেকগুলি বিষয় খুঁচিয়ে তুলল শীর্ষ আদালতের নির্দেশ। পরবর্তীকালে এনিয়ে আরও বিতর্কের ইঙ্গিত দিয়ে রাখল।

ভারতীয় সংবিধানে আলাদা করে গোপনীয়তার অধিকার বলে কিছু নেই। ২১ অনুচ্ছেদে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও বাঁচার অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন, সংবিধান স্বীকৃত হলেও চূড়ান্ত নয় 'গোপনীয়তার অধিকার', প্রশ্ন থাকছেই আধার, প্যান নিয়ে!

 

.