জঙ্গি ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি রদের আর্জিতে সই করতে ভয় লাগেনি: যোগেশ্বর

নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্যে ঘিরে বিতর্কে এবার সামিল হলেন কুস্তিগীর।  

Updated By: Dec 22, 2018, 07:21 PM IST
জঙ্গি ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি রদের আর্জিতে সই করতে ভয় লাগেনি: যোগেশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্ত্রাসবাদী ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি রদের আবেদনে স্বাক্ষর করার সময় ভয় লাগেনি? নাসিরুদ্দিন শাহকে নিশানা করলেন কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্ত। বুলন্দশহর হিংসার ঘটনা নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন বলিউডের অভিনেতা। বলেছিলেন, সন্তানদের নিয়ে শঙ্কিত তিনি। বলে রাখি, ২০১২ সালে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন যোগেশ্বর দত্ত। 

টুইটারে কুস্তিগীর যোগেশ্বর দত্ত লিখেছেন,''ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের অপহরণ করেছিল একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কিন্তু ধর্ম দেখে বাংলাদেশিকে ছেড়ে দিয়েছিল ওরা। বাকি ৩৯জন ভারতীয়কে হত্যা করা হয়েছিল। তখন আপনি রেগে যাননি? সন্ত্রাসবাদী ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি রদের আবেদনে স্বাক্ষর করার সময় ভয় লাগেনি''?       

যোগেশ্বর আরও বলেন, ''বুলন্দশহরের মৃত্যুর ঘটনার দুঃখজনক। কিন্তু এর আগেও তো অনেক দাঙ্গা হয়েছে, নিরীহদের প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু তখন তো আপনার ভয় লাগেনি। এতেই বোঝা যায়, আপনি কোন পক্ষের। সন্ত্রাসবাদীকে মাফ করার পর নিজেকে দেশভক্ত বলবেন না। জয় হিন্দ। জয় ভারত''। তাঁর খোঁচা, যাঁরা নিজের সন্তানদের নিয়ে শঙ্কিত, তাঁদের ১৯৮৪ সালের দাঙ্গা, ১৯৯২ মুম্বই বিস্ফোরণ ও ২৬/১১ হামলার সময় ভয় লাগেনি?      

দিন কয়েক আগে নাসিরুদ্দিন শাহের একটি ইউটিউব ভিডিও নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সমাজের মধ্যে ধর্মের বিষ ঢুকে গিয়েছে। তাঁর সন্তানদের ধর্মের তালিম দেননি। ফলে ভিড় ঘিরে ধরলে তাঁরা হিন্দু না মুসলিম বলতে পারবেন না। ভয় নয়, রাগ হচ্ছে তাঁর। নাসিরুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পরই সমালোচনায় সরব হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছেন নাসিরুদ্দিন শাহ।

আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিবেগে দৌড়চ্ছিল ট্রেন-১৮, উড়ে এল পাথর, তারপর...

রাজস্থানে একটি সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনে থাকার কথা ছিল নাসিরুদ্দিনের। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে উদ্যোক্তাদের না বলে দেন বলিউডের অভিনেতা। নাসিরুদ্দিন শাহ সমালোচকদের এক হাত নিয়ে বলেন, “আমার আগের মন্তব্যের জন্য আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে। সত্যিই দুর্ভাগ্যের।” নাসিরুদ্দিন আরও বলেন,''নিজের দেশের সমালোচনা করলে কী করে দেশদ্রোহী হতে পারি? এই দেশ আমার জন্মভূমি। এই দেশকে আমি ভালবাসি''।

 

.