Immunity বাড়াতে রোজ গুলঞ্চ খান? লুকিয়ে বড় বিপদ! লিভার ড্যামেজের আশঙ্কা

ক্ষতি অন্যান্য আয়ুর্বেদ ওষুধের যথেচ্ছ প্রয়োগেও, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জানুন

Jul 06, 2021, 13:19 PM IST
1/6

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ (Herbal Meidcines) খাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এর যথেচ্ছ সেবন ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। লিভারে ক্ষত (Liver Damage) সৃষ্টি থেকে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক্লিনিক্ল্যাল ও এক্সপেরিমেন্টাল হেপাটোলজি নিয়ে এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিডকালে ইমিউনিটি বুস্ট করতে নিয়মিত আয়ুর্বেদ ওষুধ যেমন গুলঞ্চ (Giloy) সেবন করছেন অনেকে। কিন্তু শরীরে এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

2/6

গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কমপক্ষে ৬ জন রোগীর উপর এই গবেষণা চালানো হয়। এদের মধ্যে প্রথম রোগী গরম জলে গুলঞ্চ, এলাচ ও লবঙ্গ ফুটিয়ে সপ্তাহে দুদিন করে সেবন করতেন। তিন মাস টানা এই সেবন করার ফলে ১৫ দিন ধরে জন্ডিসে ভুগেছেন বছর ৪০ এৎ ঐ যুবক।

3/6

রোজ গুলঞ্চ সেবনের ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের এক বছর ৫৪ এর রোগীও জন্ডিসে আক্রান্ত হন। শুধু তাই নয়, আরও বেশকিছু রোগীদের মধ্যে খিদে না পাওয়া, হজমশক্তি কমে যাওয়া, হলুদ প্রস্রাবসহ একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে নিয়মিত গুলঞ্চ সেবনের ফলে।

4/6

লিভারেও গুরুতর সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের। এ ব্যাপারে অবশ্য চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া গুলঞ্চের যথেচ্ছ ব্যবহারে নিষেধ করেছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রালয়। মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ১৫ দিন অথবা এক মাসে দিনে দুবার গরম জলে ১-৩ গ্রাম/ ৫০০ মিলিগ্রাম পাউডার নিয়ে গুলে খেতে হবে। 

5/6

গিলয় নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

গুলঞ্চের উপকারিতা সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই। তবে দীর্ঘদিন ধরে এর যথেচ্ছ প্রয়োগ লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ২-৩ মাসের বেশিদিন ধরে সেবন করলে একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে লিভারের কার্যকারিতা। 

6/6

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু রোগী বেঁচে ফিরলেও মৃত্যুর আশঙ্কাও থেকে যায়। বিশেষত যারা আগে থেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা অ্যালকোহল সেবন করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টই একমাত্র বাঁচার উপায়। তবে অনেকেই তার আগে মারা যান। অতএব, চিকিৎসকদের সাফ পরামর্শ নিজে নিজে চিকিৎসা করা যাবে না। একইসঙ্গে সঠিক সূত্র ছাড়া আয়ুর্বেদ ওষুধের ব্যবহার করা যাবে না বলেই মত পোষণ করছেন তাঁরা।