WATCH | Rinku Singh: অবিশ্বাস্য ইনিংসের পর আবেগি রিঙ্কু, মাথা গুঁজলেন কোচের বুকে, মুখে বিশ্বাসের কথা

Rinku Singh: পরিসংখ্যান বলছে যে, ২০ ওভারের ক্রিকেটের ইতিহাসে, রান তাড়া করতে নেমে কোনও ক্রিকেটার আজ পর্যন্ত শেষ ওভারে পাঁচটি ছক্কা হাঁকাননি। সেটাই করে দেখালেন রিঙ্কু। তাঁর নামের পাশে লেখা হচ্ছে ৬,৬,৬,৬,৬!  

Updated By: Apr 9, 2023, 08:35 PM IST
 WATCH | Rinku Singh: অবিশ্বাস্য ইনিংসের পর আবেগি রিঙ্কু, মাথা গুঁজলেন কোচের বুকে, মুখে বিশ্বাসের কথা
রিঙ্কু বলছেন যে, তিনি জানতেন, পারবেন করতে!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) এ কী ইনিংস খেললেন। এখনও ঘোরের মধ্যে ফ্যানরা। তাঁরা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, এভাবেও কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে। রবি সন্ধ্যায় মোতেরায় আছড়ে পড়েছিল রিঙ্কু সুনামি। একেবারে শেষ লগ্নে এসে ভেসে গিয়েছে গুজরাত টাইটান্স। রশিদ খানের অসাধারণ হ্যাটট্রিকও দাম পায়নি উত্তরপ্রদেশের বছর পঁচিশের ব্যাটারের সামনে। গুজরাত টাইটান্সকে (Gujarat Titans) তিন উইকেটে হারিয়ে প্রায় অসম্ভব সম্ভব করেছেন কলকাতার ক্রিকেটার। ম্যাচের পর ম্যাচের সেরা আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। ডাগআউটে আসার আগেই কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের বুকে মাথা গুঁজে আবেগি হয়ে পড়েন কৃষক পরিবারের সন্তান। জীবন সংগ্রামে একের পর এক পাথর ভেঙে আজ এই জায়গায় এসেছেন। ম্যাচের পর রিঙ্কুর মুখে শোনা গেল শুধুই বিশ্বাসের কথা।

রিঙ্কু সিং ম্যাচের পর বলেন, 'আমার বিশ্বাস ছিল যে, আমি এটা করতে পারি। রানা ভাই বলেছিল নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে, শেষপর্যন্ত ব্যাট করে যেতে। তারপর দেখা যাবে কী হবে। আমি শুধু ছয় হাঁকানোর চেষ্টা করে গিয়েছি। উমেশ ভাই বলেছিল, বেশি কিছু না ভেবে বল বুঝে খেলে যেতে। ফলে বেশি কিছু ভাবছিলাম না। বল বুঝে প্রতিক্রিয়া দিয়েছি। বল একদম ব্যাটের মাঝে আসছিল। আমার নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। শেষে সেটা বুঝতে পারলাম।'

আরও পড়ুন: মোতেরায় আছড়ে পড়ল রিঙ্কু সুনামি! টানা পাঁচ ছয়ে অবিশ্বাস্য ম্যাচ জেতালেন কলকাতাকে

এদিন ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে, ৪০ বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। যা অনেকদিন মনে থেকে যাবে ফ্যানদের। আটটি চার ও পাঁচটি ছয় হাঁকান তিনি। ভেঙ্কটেশ যখন ফেরেন, তখন কলকাতার স্কোর চার উইকেট হারিয়ে ১৫৪। তবে ১৭ নম্বর ওভারে এসে রশিদ একাই কামাল করে দেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। পরপর তিন বলে তুলে নেন তিন উইকেট। আন্দ্রে রাসেল (১), সুনীল নারিন (০), শার্দূল ঠাকুর (০) হন রশিদের শিকার। চলতি আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক এল রশিদের সৌজন্যে। এরপরেই এই ম্যাচ কেকেআরের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। এমনটাই ভেবে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু সব হিসেব বদলে দিলেন রিঙ্কু। শেষ ৬ বলে কেকেআরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। রিঙ্কু টানা পাঁচটি ছয় মেরে সব হিসেব বদলে দেন। যশ দয়াল ভাবতে পারেননি যে বল হাতে তাঁর এমন দুর্দিন আসতে চলেছে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)   

.