গলায় আটকে কয়েন, চার হাসপাতাল ঘুরে শিশুর চিকিত্সা শেষপর্যন্ত এসএসকেএম-এ
শনিবার দুপুরে বাড়িতে খেলতে খেলতে অর্ঘ্য একটি এক টাকার কয়েন গিলে ফেলে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গলায় আটকে রয়েছে কয়েন। সেই অবস্থাতেই শিশুকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরলেন দাদু-ঠাকুমা। শিশুকে ফেরাল চার হাসপাতাল। অবশেষে এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুর গলা থেকে বার করা হল কয়েন।
রানাঘাটের গাংনাপুরের বাসিন্দা বছর চারেকের অর্ঘ্য বিশ্বাস থাকে তার দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে। বছর খানেক আগে মার মৃত্যু হয়েছে। বাবা রান্নার কাজ করেন। আর সেই সূত্রে মাঝেমধ্যেই বাইরে যেতে হয় তাঁকে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে বাড়িতে খেলতে খেলতে অর্ঘ্য একটি এক টাকার কয়েন গিলে ফেলে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। কয়েনটি আটকে যায় গলায়। অর্ঘ্য কথা বলতে পারে না।
আরও পড়ুন:পাশের বাড়ির উঠোনে খেলছিল ভাইবোন, মা গিয়ে যা দেখলেন তাতে ছ্যাঁক করে উঠল তাঁর বুক!
প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন তার ঠাকুমা। এরপর দাদু ও প্রতিবেশীরা মিলে অর্ঘ্যকে প্রথমে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান।
অভিযোগ, রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রথমে তার এক্স রে করা হয়। তারপর হাসপাতালের তরফে বলা হয়, এখানে অর্ঘ্যর চিকিৎসা হবে না, তাকে কল্যাণী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কল্যাণী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও কোনও চিকিৎসা হবে না বলে এনআরএস -এ রেফার করা হয়।
এরপর কল্যাণী থেকে সন্ধ্যায় ট্রেন ধরে কলকাতায় আসেন অর্ঘ্যের দাদু-ঠাকুমা। কিন্তু এনআরএস হাসপাতালে তার আরও একবার এক্স-রে করা হয়। ফের অর্ঘ্যের পরিবারকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য বলে এনআরএস কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এক পরিচিতের সূত্রে ধরে অর্ঘ্যকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যান দাদু-ঠাকুমা। সেখানেও তাদের ‘না’ শুনতে হয়।
এরপর রাত ১টা নাগাদ অর্ঘ্যকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যান তার দাদু-ঠাকুমা। অবশেষে সেখানে শুরু হয় তার চিকিত্সা। এক ঘণ্টার মধ্যেই অর্ঘ্যের গলা থেকে কয়েন বার করে আনেন চিকিত্সকরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন এভাবে অর্ঘ্যকে নিয়ে এতগুলো হাসপাতাল ঘুরতে হল তার দাদু-ঠাকুমাকে।