প্রতিদিন কলকাতায় আসত ৫,০০০ কেজি ভাগাড়ের মাংস, দাবি গোয়েন্দাদের
সোনারপুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথের এলাহি জীবনযাত্রা দেখে ভাগাড়ের মাংসের রমরমা আগেই টের পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তাই বলে ব্যবসা মাসে আধ কোটি ছাড়াবে অনুমান করতে পারেননি কেউ। শনিবার কেস ডায়েরির মাধ্যমে আদালতের সামনে যাবতীয় তথ্য পেশ করেন সিট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাগাড়কাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল সিট-এর হাতে। গোয়েন্দাদের দাবি, প্রতিদিন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাগুলির ভাগাড় থেকে প্রায় ৫,০০০ কিলোগ্রাম মাংস আসত কলকাতায়। মাসে অন্তত ৫৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হত ভাগাড়কাণ্ডে গ্রেফতার বিশ্বনাথ ঘড়ুইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।
ভাগাড়কাণ্ডের অন্যতম মূলচক্রী বিশ্বনাথ ঘড়ুইকে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁকে জেরা করেই মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে প্রতিদিন কলকাতায় ঢুকত ৫০ ক্যুইন্টাল ভাগাড়ের মাংস। পুরসভা ও পঞ্চায়েতের দেওয়া বিভিন্ন লাইসেন্স ব্যবহার করে মাংস আনা হত কলকাতায়।
ফেরিঘাটে বস্তায় পুরে পচা মাংস পাচার, রেস্তরাঁয় মিলল নষ্ট বিরিয়ানিও!
সোনারপুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথের এলাহি জীবনযাত্রা দেখে ভাগাড়ের মাংসের রমরমা আগেই টের পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তাই বলে ব্যবসা মাসে আধ কোটি ছাড়াবে অনুমান করতে পারেননি কেউ। শনিবার কেস ডায়েরির মাধ্যমে আদালতের সামনে যাবতীয় তথ্য পেশ করেন সিট।
গোয়েন্দাসূত্রের খবর, একা বিশ্বনাথেই আধ কোটি ছাড়িয়েছে ভাগাড়কাণ্ডের বহর। বাকি অভিযুক্তদের কারবারের তদন্ত শেষ হলে তাহলে কোথায় পৌঁছতে পারে এই সংখ্যা!