এরাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ৭০০ বাংলাদেশি জঙ্গি; ডশিয়ার দিয়ে ভারতকে জানাল বাংলাদেশ
এরাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ৭০০ বাংলাদেশি জঙ্গি। তাদের অনেকেই বাংলাদেশে মোস্ট ওয়াস্টেন্ড। গত এক বছরে ভারতে জেহাদি অনুপ্রবেশ, তিনগুণ বেড়েছে। এ রাজ্যের মাটিতে ঘাঁটি করেই নাশকতার ছক কষছে এই জঙ্গিরা। ডশিয়ার দিয়ে ভারতকে জানাল বাংলাদেশ।
ওয়েব ডেস্ক : এরাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ৭০০ বাংলাদেশি জঙ্গি। তাদের অনেকেই বাংলাদেশে মোস্ট ওয়াস্টেন্ড। গত এক বছরে ভারতে জেহাদি অনুপ্রবেশ, তিনগুণ বেড়েছে। এ রাজ্যের মাটিতে ঘাঁটি করেই নাশকতার ছক কষছে এই জঙ্গিরা। ডশিয়ার দিয়ে ভারতকে জানাল বাংলাদেশ।
ভারতের মাটিতে একলাফে তিনগুণ বেড়ে গেছে জঙ্গি অনুপ্রবেশ। ডশিয়ার দিয়ে ঢাকা জানাল নয়াদিল্লিকে। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দাবি, ২০১৪-য় ভারতে প্রবেশ করেছিল ৭০০ জেহাদি। ২০১৫-য় ৬৫৯ জন জেহাদি ভারতে ঢুকে পড়ে বলে দাবি বাংলাদেশের। ২০১৬-য় সংখ্যাটা তিনগুণ হয়ে যায়। ২০১০জন জেহাদি ঢুকে পড়েছে সীমান্ত পার হয়ে। এদের সুনির্দিষ্ট তালিকা নয়াদিল্লিকে দিয়েছে ঢাকা। এদের মধ্যে ৭০০জনই ঘাঁটি গেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
আরও পড়ুন- পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির চক্র চলছে কোচবিহার ডাকঘরে
কোথায় ঘাঁটি জেহাদিদের?
পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরায় ঘাঁটি গাড়ছে এই জঙ্গিরা। অসমের কাছারের হাইলাকান্দিতে রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছে তারা। কিছুদিন আগেই সেখান থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৫ JMB জঙ্গি। এবার জঙ্গি নজরে বাংলা। এই অনুপ্রবেশকারীদের নাম, পরিচয় নিয়েও হাতে গরম তথ্য ভারততে দিয়েছে বাংলাদেশ।
জেহাদে যোগ দিতে গত কয়েক বছরে বহু তরুণ ঘর ছেড়েছে। তাঁদের ২১০জন ভারতে প্রবেশ করছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দাবি, এই জেহাদিদের অধিকাংশই হুজি এবং JMB আনসারুল বাংলা টিমের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। এদের বড় অংশ বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত। সালাউদ্দিন পাহেলি, সোহেল মেহফুজ, আবু সুলেইমানের মত JMB-র শীর্ষ নেতারা এরাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে আছে বলে খবর। এই অনুপ্রবেশকারীদের অধিকাংশই সালাফি ওয়াহাবি ধারায় বিশ্বাস করে। ISIS-এর চিন্তাভাবনায় এরাও নিজেদের খিলাফতের সৈন্য ভাবে, ও গোটা পৃথিবীতে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
নায়দিল্লি আসছেন শেখ হাসিনা। জেহাদি অনুপ্রবেশ সমস্যাও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অন্যতম ইস্যু হবে। দু'দেশের গোয়েন্দারাই জেহাদিদের রুখতে আগে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। তার পরেও এদেশে ঢুকে ডেরা বানাচ্ছে জেহাদিরা। সেটা রোখাই এখন দুদেশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।