যুবককে বেধড়ক মেরে পুড়িয়ে দেওয়ার নিদান মোড়লদের!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক জমি নিয়ে হবিবপুরের কেন্দপুকুর গ্রামের বাসিন্দা মণ্ডল হাঁসদার সঙ্গে  তাঁর পিসি শ্রীমতি হাঁসদার বিবাদ দীর্ঘদিনের। 

Updated By: Oct 5, 2018, 12:39 PM IST
যুবককে বেধড়ক মেরে পুড়িয়ে দেওয়ার নিদান মোড়লদের!

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ফের সালিশি সভায় মাতব্বরদের দাদাগিরি। এক যুবককে পুড়িয়ে মারার নিদান মোড়লদের। নিদান মেনে যুবককে বেধড়ক মারধর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হাবিবপুরের কেন্দপুকুরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক জমি নিয়ে হবিবপুরের কেন্দপুকুর গ্রামের বাসিন্দা মণ্ডল হাঁসদার সঙ্গে  তাঁর পিসি শ্রীমতি হাঁসদার বিবাদ দীর্ঘদিনের।  একাধিকবার এই নিয়ে দুজনের ঝগড়া হয়।  সম্প্রতি তা চরমে ওঠে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় গ্রামের মোড়লদের দ্বারস্থ হন শ্রীমতি হাঁসদা। নির্দিষ্ট দিনে গ্রামের সালিশি সভা  ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার ছিল সেই দিন।

আরও পড়ুন: জুতোর মধ্যেই ছিল আসল জিনিস, জেলারের হাতে ধরা পড়লেন জেলারই ওয়ার্ডেন

পিসি-ভাইপোর ঝামেলা মেটাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সালিশি বসে গ্রামে। উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি ও মণ্ডলের প্রতিবেশীরাও। সব কিছু শুনে গ্রামের মোড়লরা পিসি শ্রীমতির পক্ষে রায় দেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। রায় ঘোষণার পর মণ্ডল হাঁসদার ওপর শুরু হয় অত্যাচার। গ্রামের মোড়লরা নিদান দেন, গাছে বেঁধে মণ্ডলকে পিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিতে।  গ্রামের মোড়লদের কথা মুখ থেকে বেরোতেই মণ্ডলের ওপর চড়াও হন বেশ কয়েকজন।  তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে।

ঠিক সেই মুহূর্তেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মণ্ডল হাঁসদার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন মণ্ডল হাঁসদা।  পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা পলাতক।

.