৯৬ ঘণ্টা ট্রেনে চড়ে সাপে কাটা রোগী পৌঁছলেন হাসপাতালে!
বিপত্তি আরও বাড়ে। ওঝার ঝাড়ফুঁকে সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা, স্বাভাবিকভাবেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন মধুসূদন। ইতিমধ্যেই খবর পৌঁছয় মধুসূদনের বাড়িতে। স্ত্রী প্রাথমিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েন। পরে সিদ্ধান্ত নেন স্বামীকে ফিরিয়ে আনার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেবতাদের তুষ্ট করে সর্পাঘাতে মৃত লখিন্দরকে ফিরিয়েছিল বেহুলা। এযুগের সবিতা তার সাপে কাটা স্বামীকে ফেরাল বিজ্ঞানমনস্ক সচেতনতায়। সাপে কামড়ানো রোগীকে নিয়ে চলছিল ওঝার কেরামতি। তাবিজ,জড়িবুটি দিয়ে চিকিত্সা। এ ঘটনা কর্নাটকের।
রুটি রুজির তাগিদে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বাসিন্দা মধুসূদন সরদার কর্নাটক গিয়েছিলেন। সেখানেই একদিন সাপে কামড়ায় তাঁকে। বিষ শরীরে ছড়িয়ে মধুসূদন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা মধুসূদনকে নিয়ে স্থানীয় এক ওঝার কাছে যান। শুরু হয় ওঝার ঝাড়ফুঁক।
আরও পড়ুন: শিক্ষিকার বাড়ি জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই প্রতিবেশী ভাড়াটে যুবককে যে অবস্থায় দেখলেন...
বিপত্তি আরও বাড়ে। ওঝার ঝাড়ফুঁকে সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা, স্বাভাবিকভাবেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন মধুসূদন। ইতিমধ্যেই খবর পৌঁছয় মধুসূদনের বাড়িতে। স্ত্রী প্রাথমিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েন। পরে সিদ্ধান্ত নেন স্বামীকে ফিরিয়ে আনার।
আরও পড়ুন: জেলাশাসকের দফতরে মাটিতে বসে সরকারি কর্মী, প্রশ্ন করতেই যা জানালেন...সরকারি দফতরে এমনও হয়!
কর্নাটকে স্বামীর সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সেখানে পৌঁছন, এরপর ট্রেনেই কর্নাটক থেকে ক্যানিং ফিরিয়ে আনেন তিনি। ৯৬ ঘণ্টা ট্রেনযাত্রার শেষে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মধুসূদনকে। শুরু হয় চিকিত্সা। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন ,এখন বিপদ কেটেছে মধুসূদনের। সাপে কামড়ানো রোগীর ঠিক সময়ে চিকিত্সা শুরু হলে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব। পরিবারের লোককে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়ে খুশি রোগীর পরিবারও।