বউয়ের কাছে হিরো সাজতে গিয়ে জেলে যেতে হতে পারে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসককে
আগে নবান্নের সুনজরে থাকলেও সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের সঙ্গে জেলাপ্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না। ছুটিতে পাঠানোর আগে ঘটনা সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যা করেছি, বেশ করেছি। যা হয় দেখে নেব।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: থানায় অভিযুক্তকে পেটানোর ঘটনায় বিপদ বাড়তে চলেছে অলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল। মঙ্গলবার নবান্নসূত্রে জানা গিয়েছে, নিখিলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। তেমন হলে, জেলে যেতে হতে পারে আইএএসকে।
এদিন নবান্ন থেকে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে হেফাজতে থাকাকালীন বন্দিকে অনধিকার নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হতে চলেছে। নবান্নের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, থানায় যাওয়ারই কথা নয় নিখিল নির্মলের। সেখানে গিয়েই আইন ভেঙেছেন তিনি। গ্রেফতার হওয়া যুবককে মারধর তো আরও গর্হিত।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক পদ থেকে সরছেন ‘সিঙ্ঘম’ নিখিল!
সূত্রের খবর, আগে নবান্নের সুনজরে থাকলেও সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের সঙ্গে জেলাপ্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না। ছুটিতে পাঠানোর আগে ঘটনা সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যা করেছি, বেশ করেছি। যা হয় দেখে নেব।' এর পরই তাঁকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন।
ওদিকে একই সুরে কথা বলেছেন আলিপুরদুয়ারের আইসি সৌম্যজিত রায়। তাঁর কথায়, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। উনি অপরাধ করেছেন। তাই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলাশাসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে ইতিমধ্যে আমরা আদালতে আবেদন জানিয়েছি। আদালত সেই আবেদন গ্রহণও করেছে। আমরা আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।'
Caught on camera: Bengal IAS officer thrashes youth for lewd comments on wife's FB profile https://t.co/xbAPUkl48q by @pooja_zeenews pic.twitter.com/9XZIqyDVL1
— DNA (@dna) January 6, 2019
গত রবিবার সোশ্যাল সাইটে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, থানার মধ্যেই এক যুবককে বেধড়ক মারধর করছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক তথা আইএএস অফিসার নিখিল নির্মল। চলছে বেপরোয়া কিল, চড়, ঘুষি, লাথি। দাপট দেখাতে বাদ যাননি তাঁর স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণণ । ফেসবুকে একটি গ্রুপে তাঁকে এড করেছিলেন অভিযুক্ত যুবক বিনোদ সরকার। তারপর তাঁর উদ্দেশে একাধিক নোংরা, অশ্লীল কথা বলেন তিনি। জেলাশাসকের স্ত্রীর দাবি, তাঁকে ফেইসবুকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন ওই যুবক। ঘটনার পরদিনই জেলাশাসককে ছুটিতে পাঠায় নবান্ন।