কর্মী ছাঁটাই নয়, বিকল্প পথ খুঁজে কর্মীদের ঠিক সময়ে বেতন দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ

পার্কের পুকুরে করা হচ্ছে মাছ চাষ। হাঁস, মুরগির ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বের করা হচ্ছে অত্যাধুনিক মানের হ্যাচিং যন্ত্রের মাধ্যমে।

Updated By: Sep 23, 2020, 10:12 PM IST
কর্মী ছাঁটাই নয়, বিকল্প পথ খুঁজে কর্মীদের ঠিক সময়ে বেতন দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আবহে কর্মী ছাঁটাই নয়। অন্য আয়ের পথ খুঁজে নিয়ে ৪৬ জন কর্মীকে ঠিক সময়ে বেতন দেওয়ার বন্দোবস্ত। এমনই নতুন দিশা দেখালো পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার দেউল পার্ক কর্তৃপক্ষ। 

পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার দেউল পার্ক। সপ্তাহিক ছুটি কাটানোর অসাধারণ জায়গা। বড় থেকে বাচ্চা সবার বিনোদনের নানা সামগ্রী ছাড়াও পাবেন হাইজিনিক ফুড। কিন্তু গত পাঁচ মাসে করোনা পরিস্থিতি সব হিসেব বদলে দিয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস টানা বন্ধ পার্ক, দেখা নেই পর্যটকদের। এই অবস্থায় পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ এবং কর্মীদের মাস মাইনে দিতে অভিনব উদ্যোগ নেয় দেউল পার্ক কর্তৃপক্ষ। করোকনাথ,রেড আয়ারল্যান্ড,সোনালী সহ বিভিন্ন দেশি বিদেশি  মুরগি, হাঁসের প্রতিপালন করা হচ্ছে। প্রতিপালন করা হচ্ছে ছাগলও।

আরও পড়ুন: 

পার্কের পুকুরে করা হচ্ছে মাছ চাষ। হাঁস, মুরগির ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বের করা হচ্ছে অত্যাধুনিক মানের হ্যাচিং যন্ত্রের মাধ্যমে। সবটাই হচ্ছে পার্কের ভেতরে।হাঁস মুরগির খাবারের জন্য পার্কের ভেতরে করা হয়েছে ধান চাষ। সব কাজই করছেন পার্কের ৪৬ জন কর্মী। কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে গত পাঁচ মাসে  বহু  সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করেছে। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার দেউল পার্ক কর্তৃপক্ষ। বরং পার্ক বন্ধ থাকাকালীন ভিন্ন উপায়ে আয়ের পথ বের করে পার্কের ৪৬জন কর্মীকে সঠিক সময়ে বেতন দিয়ে দেখিয়েছে  মানবিকতা মুখ।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেউল পার্কও ফিরবে স্বাভাবিক ছন্দে। কিন্তু পার্ক কর্তৃপক্ষ এই নতুন আয়ের পথ বন্ধ করতে নারাজ । কর্মীদের আরও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পর্যটকদের বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি এই হাঁস, মুরগী প্রতিপালন,মাছ চাষের ব্যবসাও চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

.