Arjun Singh: সস্তা অস্ত্র, বাংলায় কবে বোমা ছিল না? সিপিএম আমলে ফাটত না! সরব অর্জুন

Arjun Singh:গতকালই বনগাঁর বক্সি পল্লিতে একটি বাড়ির শৌচাগারে বিস্পোরণ ঘটে। মৃতের নাম রাজু রায়। ঘটনাস্থলের পাশেই একটি গ্যারেজে কাজ করত ওই কিশোর। এদিন সকালবেলায় শৌচকর্ম করতে যায় ওই কিশোর। তখনই ফাটে শৌচাগারের মধ্যে মজুত থাকা ওই বোমা

Updated By: Jun 6, 2023, 02:15 PM IST
Arjun Singh: সস্তা অস্ত্র, বাংলায় কবে বোমা ছিল না? সিপিএম আমলে ফাটত না! সরব অর্জুন

বরুণ সেনগুপ্ত: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বোমা ফাটার ঘটনা ঘটছে। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করছে বিজেপি সহ বিরোধী শিবির। ঘটনার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর দাবি ছিল, যেসব মাশলা দিয়ে দেশি বোমা তৈরি হয় তাতে এই গরমে বোমা ফেটে যেতেই পারে। এবার এনিয়ে বলতে গিয়ে ফের রাজনৈতিক বিতর্ক উস্কে দিলেন তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং।

আরও পড়ুন-কর্মীদের সঙ্গে কদর্য ভাষায় অশালীন আচরণ, উচ্চপদস্থ আধিকারিককে সাসপেন্ড করল ব্যাঙ্ক 

সোমবারই বনগাঁর একটি বাড়ির শৌচাগারে বোমা বিস্পোরণ ঘটে যায়। বিস্ফোরণের দাপটে শৌচাগারের দেওয়াল ধসে পড়ে। মৃত্যু হয় ১২ বছরের এক বালকের। এনিয়ে প্রশ্ন করা হয় অর্জুন সিংকে। ব্যারাকপুরের সাংসদ বলেন, পুলিস বোমা উদ্ধার করছে। বাড়িতে বোমা রাখা রয়েছে। এত রোদে বোমা ফাটবেই। বাংলায় কখন বোমা ছিল না, আমাকে একটু বলুন? সিপিএম জমানায় বপোমা ছিল না বাংলায়? বোম থাকে। পুলিস যত সক্রিয় হবে তত তাড়াতাড়ি বোমা উদ্ধার হবে। নকশাল জমানা দেখেছি, সিপিএম জমানা দেখেছি আর তৃণমূলের আমলও দেখছি। বোমা হল সবচেয়ে সস্তা অস্ত্র। কিন্তু নজরদারির অভাব যদি থাকতো তাহলে কি বোমা উদ্ধার হতো? 

বনগাঁ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে খড়দহর বিধায়ক শোভনদেব ভট্টাচার্য বলেন, পুলিসকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এই যে মৃত্যু তা তো আমাদের কাঙ্খিত নয়। এসব তো সমর্থন করা যায় না। এই যে রেল দুর্ঘটনা হয়ে গেল, যাদের বাড়িয়ে লোকের মৃত্যু হল তারা তো জানে কী হল। পুলিসের সোর্স আরও সক্রিয় হোক। 

উল্লেখ্য, গত ১ জুন নদিয়ার চাপড়ার হাতিশালা ১ নম্বর  মহেশনগর গ্রামের বাসিন্দা শেখ সাইফুল। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁর পরিবারের অনেকেই নাকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। এমনকী, সাইফুল নিজেও শাসকদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত। এদিন সন্ধেবেলায় সেই সাইফুলে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ঘরের  ঘরের দেওয়াল উড়ে যায়। বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সাইফুল ও তাঁর পরিবারের লোকেরা পলাতক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস।

গতকালই বনগাঁর বক্সি পল্লিতে একটি বাড়ির শৌচাগারে বিস্পোরণ ঘটে। মৃতের নাম রাজু রায়। ঘটনাস্থলের পাশেই একটি গ্যারেজে কাজ করত ওই কিশোর। এদিন সকালবেলায় শৌচকর্ম করতে যায় ওই কিশোর। তখনই ফাটে শৌচাগারের মধ্যে মজুত থাকা ওই বোমা। শৌচাগারের মধ্যে বোমা ফোটে গুরুতর আহত হয় রাজু রায় নামে ওই কিশোর। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওদিকে শুধু উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ নয়, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকেও উদ্ধার হয়েছে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার।

গত ২৬ মার্চ মালদহের কালিয়াচকের নওদায় এক বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক বালকের। নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নয়াগ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর শেখ। পেশায় তিনি দিনমজুর। এদিন সকালে গ্যাস জ্বালিয়ে বাড়িতে রুটি তৈরি করা হচ্ছিস। কাছেই ছিল হাবিবুরের ৩ বছরের ছেলে তাবিরেশ শেখ। বিস্ফোরণ ঘটল কী করে? পরিবারের লোকেদের দাবি, রান্নাঘরে রাখা গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলে। তাবিরেশ কোথায় গেল? এরপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। গুরুতর জখম অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা  হয়। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কালিয়াচক হাসপাতালে। সেখান থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাসে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা  তাবিরেশ মৃত বলে ঘোষণা করেন।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.