জামাই ষষ্ঠীতে ইলিশ কিনে ঠকলেন না তো? জেনে নিন ডায়মন্ড হারবারে কত করে বিক্রি হল ইলিশ
ইলিশ না-থাকায় ভোলা, কাতলা, পমফ্রেট চিংড়ি নিয়ে ফিরেছেন তাঁরা। আর যেটুকু ইলিশ মিলেছে তা বিকিয়েছে সোনার দরে। ৩০০-৪০০ গ্রাম ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০০-৬০০ টাকায়। একই অবস্থা কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি ও রায়দিঘিতেও।
নকিবউদ্দিন গাজি
নির্দিষ্ট সময়েই রাজ্যে ঢুকেছিল বর্ষা। ওদিকে জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ থেকে পিছিয়ে এবার পড়েছে আষাঢ়ে। তাই আশায় বুক বেঁধেছিলে ডায়মন্ড হারবারের বিখ্যাত নগেন্দ্র বাজারের আড়ত্ ব্যবসায়ীরা। ভেবেছিলেন জাল ভরে উঠবে ইলিশ। চড়া দামে বিকোবে সোনালি ফসল। কিন্তু কোথায় কী? আকাশ মেঘলা না-থাকায় খালি পেটে ফিরেছে একের পর এক ট্রলার। তাতেই মাথায় হাত ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ ব্যবসায়ীদের।
প্রতিবারের মতো এবার ছিল না মুটেদের হাঁকাহাকি। ছিল না পাল্লার কাছে নিলামদারের শোরগোল। জামাইষষ্ঠীতে কার্যত শুনশান ডায়মন্ড হারবারের বিখ্যাত নগেন্দ্র বাজার। কলকাতা তো বটেই, গোটা রাজ্যে ইলিশ চালান হয় এই বাজার থেকেই। কিন্তু এবার চেনা ব্যস্ততার ছিটেফোঁটাও নেই। আর থাকবেই বা কী করে? ইলিশেরই যে দেখা নেই বাজারে।
ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজারে রয়েছে কমবেশি ৭০টি আড়ত্। প্রতি বছর জামাই ষষ্ঠীর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নগেন্দ্র বাজারে মাছ কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে নজরে থাকে ইলিশ। তবে এবার সেগুড়ে বালি। ইলিশ না-থাকায় ভোলা, কাতলা, পমফ্রেট চিংড়ি নিয়ে ফিরেছেন তাঁরা। আর যেটুকু ইলিশ মিলেছে তা বিকিয়েছে সোনার দরে। ৩০০-৪০০ গ্রাম ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০০-৬০০ টাকায়। একই অবস্থা কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি ও রায়দিঘিতেও।
জামাই ষষ্ঠীতে জামাইকে আপ্যায়নের জন্য মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের মুখে প্রৌঢ়
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার অনেক লোকসান হয়ে গেল। প্রতিবছর যা কারবার হয় তার শিকিভাগও হয়নি এবার। লাভের মুখ দেখেনি কেউ। ইলিশ না মেলায় মধ্যবিত্ত বাঙালি ঝুঁকেছে মাংসের দিকে।