বাংলা জুড়ে জেলায় জেলায় চড়কের আগুনে স্টান্ট

হাতে হাতে এখন স্মার্ট ফোন। দুর্গাপুজোয় এখন HAPPY WISH। কিন্তু চৈত্র সংক্রান্তির গাজন আজও একইরকম। উপোস করে স্টান্ট দেখানোর নিরিখে আজও বাজি রাখতে পারে বাঙালির যেকোনও উত্সবের সঙ্গেই।

Updated By: Apr 14, 2017, 10:55 PM IST
বাংলা জুড়ে জেলায় জেলায় চড়কের আগুনে স্টান্ট

ওয়েব ডেস্ক: হাতে হাতে এখন স্মার্ট ফোন। দুর্গাপুজোয় এখন HAPPY WISH। কিন্তু চৈত্র সংক্রান্তির গাজন আজও একইরকম। উপোস করে স্টান্ট দেখানোর নিরিখে আজও বাজি রাখতে পারে বাঙালির যেকোনও উত্সবের সঙ্গেই।

শিবের বিয়ের উত্সব। বরযাত্রী মর্ত্যবাসী। চড়ক, তাক লাগানো  নানা খেলার কেরামতি দেখানোর উত্সব। আগুন কিম্বা ধারালো জিনিসের ওপর ঝাঁপ দেওয়া। অথবা লোহার শিক  শরীরে এফোঁড় ওফোঁড় ফুটিয়ে নাচ। জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া। ২০১৭ তেও অনাবিল গাজনের আনন্দ। আসুন জেনে নেওয়া যাক, জেলায় জেলায় কীভাবে উদযাপিত হল চড়ক-

দক্ষিণ ২৪ পরগনা
মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে উপোস। শিবের আরাধনা। কাঠের মাচা তৈরি করে ২০-২৫ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপ। নীচে রাখা বঁটি, কাতান সহ বিভিন্ন অস্ত্র। ঝাঁপ দেওয়ার পর শুরু হয় লোহার লম্বা শিক শরীরে ফোটানো। শিকে বাঁধা কাপড়ে আগুন জ্বালানো।  সব যন্ত্রণা ভুলে শিবের গাজনে সামিল অংশগ্রহণকারীরা। এই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের। চড়কের মেলায় শিবের গাজনের পালাও বসেছে  জায়গায় জায়গায়।

বাঁকুড়া
প্রচলিত প্রবাদ, গাজনে অংশ নিলে দুরারোগ্য ব্যাধির হাত থেকে রেহাই মেলে। সেই আশাতেই গাজনে মেতে ওঠেন হাজার হাজার মানুষ। চলে সহ্যের পরীক্ষা দেওয়া।

হুগলি
ভোর থেকেই গাজনের স্টান্ট শুরু আরামবাগের বাতানলে।

বাংলা সংস্কৃতিতে চড়ক, গাজন, নীল পুজোর বিশেষ জায়গা রয়েছে আজও। চৈত্র মাসভর উপোস, সন্ন্যাস নেওয়া। আর চৈত্র সংক্রান্তিতে নানা কৃচ্ছসাধনে পুজোর সমাপ্তি।  ঠিক কবে থেকে গাজনের শুরু। ঐতিহাসিকেরা বলছেন সম্ভবত মধ্যযুগে। চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে গাজন, চড়কের মধ্যে দিয়ে বছর বিদায়। আর পরের দিন বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানানো। আজও বাংলাজুড়ে এই রীতিই প্রচলিত। (আরও পড়ুন- "২০২১-এ বাংলা দখল করবে বিজেপি", দাবি উমা ভারতীর)

.