বিজেপি দেবতাকে বিক্রি করে, জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের জমি দখল হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের মানুষ ভালো চিকিত্সা পায় না। ’’
নিজস্ব প্রতিবেদন: হুল দিবসে ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছিলেন। আবারও জঙ্গলমহল সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের জমি দখল হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের মানুষ ভালো চিকিত্সা পায় না। ’’ তিনি আরও বলেন, “ভোটের আগে ওরা টাকা নিয়ে আসে। ওরা রাবণের পুজো করে, আমরা দুর্গার পুজো করি। ওরা দেবতাকে বিক্রি করে খায়। দেশে আগুন জ্বালায়।” মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “দেশ না বাঁচিয়ে ওরা বিক্রি করে দিচ্ছে। যারা দেশ ভাগাভাগি করে তারা সমাজের শত্রু। ওরা চায় না বাংলার ভালো হোক।”
আরও পড়ুন: বিমানে বসে হুমকি ভিডিও কল, কলকাতা বিমানবন্দরে ধৃত যুবক
জঙ্গলমহলে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গলমহলে ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছে। আরও ১৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি হবে। জঙ্গলমহলের ছেলেমেয়েরা যাতে আরও চাকরি পায়, সেদিকে দেখব।” তিনি বলেন, “ঝাড়গ্রামে প্রত্যেকে ২ টাকা কিলো দরে চাল পান। জনপ্রতি মাসে ৮ কিলো চাল ও তিন কিলো গম দেওয়া হয়। বিনা পয়সায় চিকিত্সা, বই-খাতা পান। আমি শুনেছি অনেকের এত পরিমাণ চাল লাগে না। তাঁরা আবার বিক্রিও করে দেন। ” বিরোধীদের তোলা অনাহার তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে কেউ না খেয়ে রয়েছে, তা আমি বিশ্বাস করি না।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষ ভালো চিকিত্সা পান না। ওঁদের চিকিত্সা করাতে বাংলায় আসতে হয়।”
বাম জমানায় জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গলমহলে আগে রোজ রক্ত ঝরত। তখন সবাই কোথায় ছিলেন। সেই সময় আমি এসেছি এখানে। পিরাকাটার জঙ্গলে একবার আমি ৩ ঘণ্টা আটকে ছিলাম। কিন্তু ভয় পাইনি। এখন বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, উন্নয়ন করিনি এখানে? ”
আরও পড়ুন: ‘মামাবাড়ির কথায় আলাপ’, সেই থেকেই অনুব্রতকে ভালবাসেন মমতা
নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলে বাইরে থেকে লোক ঢোকানোর অভিযোগ তুলেছেন। সভায় উপস্থিত দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “ বাইরে থেকে লোক এসে ভুল বোঝাচ্ছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কালো টাকা ছড়িয়ে অপপ্রচার করছে। খেয়াল রাখবেন বিষয়গুলির ওপর। মানুষের কাছে কাছে গিয়ে আসল কথাটা তুলে ধরুন। এটা আপনাদেরই দায়িত্ব।”
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েতে আশানুরূপ ফল হয়নি তিন জেলা। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় সাংগঠনিক রদবদল করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর । সাংগঠনিক কাঠামো আরও সুদৃঢ় করতেই তাঁর এই সফর বলে সূত্রের খবর।