পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন রুখতে সিপিএম সদস্যকে শাড়ি খুলে মারধর তৃণমূলি দুষ্কৃতীদের
সিপিএমের বোর্ড গঠন রুখতে আগে থেকেই এলাকায় দুষ্কৃতীদের জড়ো করেছিল তৃণমূল। দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার পথে সিপিএমের ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্য দিবালোকে মহিলা সদস্যের শাড়ি খুলে চলে মারধর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সিপিএমের এক মহিলা সদস্যকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলিদের হাত থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলেন ওই মহিলা। মধ্যযুগীয় দৃশ্যের সাক্ষী রইল জলপাইগুড়ির আংরাভাষা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত।
শুক্রবার ছিল আংগারভাষা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন। সকাল থেকেই তা নিয়ে উত্তেজনা ছিল পঞ্চায়েত ভবনের চারপাশে। ৭ আসনের পঞ্চায়েতে ৪টি আসন পায় সিপিএম। ৩টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। অভিযোগ, সিপিএমের বোর্ড গঠন রুখতে আগে থেকেই এলাকায় দুষ্কৃতীদের জড়ো করেছিল তৃণমূল। দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার পথে সিপিএমের ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্য দিবালোকে মহিলা সদস্যের শাড়ি খুলে চলে মারধর। সম্ভ্রম বাঁচাতে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি।
ক্ষমতা দখলে জোট গড়ল তৃণমূল - বিজেপি
খবর পেয়ে স্থানীয় সিপিএম নেতাকর্মীরা সেখানে পৌঁছে আক্রান্ত ওই সদস্যকে নিয়ে বানারহাট হাসপাতালে পৌঁছন। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, ঘটনার সময় পুলিস সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কাউকে কোনও বাধা দেয়নি। এতেই পুলিসের সঙ্গে তৃণমূলি দুষ্কৃতীদের আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম। এই ঘটনার প্রতিবাদে দল পথে নামবে বলে দাবি করেছেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।