'৩ ঘণ্টা লিখতে গিয়ে ৩ দিন'! ডাক্তারবাবুর নিদানে না খেয়ে দুর্বল বৃদ্ধা

সুস্থ হতে গেলে ডাক্তারবাবুর কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। তবেই সারবে রোগ। কিন্তু সেই কথা মানতে গিয়ে উল্টে পরাণ পাখি ফুড়ুত্ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৬০ বছরের শিবানী সাহার। সে খবর জানাতেই হুঁশ ফেরে ডাক্তারবাবুর। জানান, তিনি 'ভুল করে' প্রেসক্রিপশনে তিন ঘণ্টার বদলে তিন দিন না খেয়ে থাকতে লিখেছেন।

Updated By: Jan 10, 2018, 07:08 PM IST
'৩ ঘণ্টা লিখতে গিয়ে ৩ দিন'! ডাক্তারবাবুর নিদানে না খেয়ে দুর্বল বৃদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুস্থ হতে গেলে ডাক্তারবাবুর কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। তবেই সারবে রোগ। কিন্তু সেই কথা মানতে গিয়ে উল্টে পরাণ পাখি ফুড়ুত্ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৬০ বছরের শিবানী সাহার। সে খবর জানাতেই হুঁশ ফেরে ডাক্তারবাবুর। জানান, তিনি 'ভুল করে' প্রেসক্রিপশনে তিন ঘণ্টার বদলে তিন দিন না খেয়ে থাকতে লিখেছেন।

জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে ভাঙা হাতের অস্ত্রোপচার হয় জলপাইগুড়ির নয়াবস্তী এলাকার বাসিন্দা ৬০ বছরের শিবানী সাহার। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর প্রেসক্রিপশনে চিকিত্সক গৌরীশঙ্কর মুখোপাধ্যায় 'তিন দিন' না খেয়ে থাকার কথা লিখে দেন। এমন নির্দেশ দেখে স্বাভাবিক কারণেই খটকা লাগে শিবানী দেবীর। সংশয় দূর করতে সিস্টারদের কাছেও যান শিবানী দেবী। কিন্তু অভিযোগ, সিস্টাররাও অসহযোগিতা করেন। ফলে শেষমেশ ডাক্তারবাবু নির্দেশ 'অক্ষরে অক্ষরে' পালন করতে না খেয়েই থেকে যান শিবানী দেবী।

এদিকে সময় যত গড়াতে থাকে, ততই খিদের জ্বালায় অস্থির হতে থাকেন শিবানী দেবী। অসুস্থবোধ করতে থাকেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার কারণে উচ্চরক্তচাপের রোগী শিবানী দেবীর মাথা ঘুরতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে চিকিত্সক গৌরীশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিবানী দেবীর পরিবার।

আরও পড়ুন, 'অজানা' পায়ের ছাপে আতঙ্ক হলদিবাড়িতে!

পুরো ঘটনা শুনে চিকিত্সক জানান, তিনি 'ভুল করে' তিন ঘণ্টা লিখতে গিয়ে তিন দিন লিখে ফেলেছেন। এদিকে ততক্ষণে নয় ঘণ্টা না খেয়ে রয়েছেন শিবানী দেবী। চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলার পর, রাতে সাড়ে ৯টার সময় বাড়ি থেকে আনা খাবার খান শিবানী দেবী। বুধবার দুপুরে শিবানী দেবীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, চিকিত্সকের বেখেয়ালে এতবড় কাণ্ড ঘটে গেলেও জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার চিকিত্সক গয়ারাম নষ্কর জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

.