সরকারি অনুমোদিত খাদানের পাশেই অবৈধ বালির কারবার, মাসোয়ারা পায় পুলিস

একের পর এক বালি বোঝাই লরিতে আগুন। বালিভর্তি ট্রাক চাপা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে উঠছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের গুরগুরিপাল। কিন্তু কেন এত ক্ষোভ স্থানীয়দের? খোঁজ নিতে গিয়েই সামনে এল বিরাট এক চক্রের কথা।

Updated By: Jul 9, 2017, 10:00 AM IST
সরকারি অনুমোদিত খাদানের পাশেই অবৈধ বালির কারবার, মাসোয়ারা পায় পুলিস

ওয়েব ডেস্ক : একের পর এক বালি বোঝাই লরিতে আগুন। বালিভর্তি ট্রাক চাপা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে উঠছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের গুরগুরিপাল। কিন্তু কেন এত ক্ষোভ স্থানীয়দের? খোঁজ নিতে গিয়েই সামনে এল বিরাট এক চক্রের কথা।

পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম। ধেরুয়া, বৈতা, লালগড় কংসাবতী নদীর পারে পরপর বালি খাদান। সেই খাদানের অলিগলিতেই অসাধু ব্যবসা, সিন্ডিকেট আর মাফিয়াদের অবাধ রাজত্ব। সরকারি অনুমোদনে চলা খাদানের পাশেই রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বালির কারবার। একটু একটু করে চুরি হয়ে যাচ্ছে নদীর চর। স্থানীয়দের অভিযোগ, যতটা এলাকা জুড়ে খাদানের অনুমতি মেলে, তার অনেক গুণ বেশি এলাকা থেকে তোলা হয় বালি। এক-একটি খাদানের থেকে মাসে প্রায় ১৫০ লরি বালি ওঠে।  আর সবটাই হয় প্রশাসনের নাকের ডগায়।

আইন আছে। তবে সেই আইনের ফাঁক গলেই চলছে অসাধু ব্যবসা। কিন্তু, পুলিস কী করছে? এলাকায় কান পাতলে কানে আসে পুলিসের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, অসাধু পুলিস কর্মীরা বালি বোঝাই ট্রাক পিছু ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা করে নেন। মাসোয়ারার বন্দোবস্তও নাকি আছে। তাছাড়া চেকপোস্টেও রয়েছে টাকা তোলার বন্দোবস্ত।

আরও পড়ুন, সাপের কামড়ে চিকিত্সার বদলে ঝাড়ফুঁক; বাসন্তীর পর গাংনাপুরে কুসংস্কারের বলি ২ শিশু

.