২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি, ইসলামপুরে কাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা নিহত ছাত্রদের পরিবারের

ইসলামপুর গুলিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিস। এই ঘটনার তদন্তভার প্রথমে জেলা পুলিসের হাতে ছিল। পরে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় নবান্ন।

Updated By: Oct 5, 2018, 03:52 PM IST
২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি, ইসলামপুরে কাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা নিহত ছাত্রদের পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইসলামপুর কাণ্ডে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের বাবা। ইসলামপুরের ঘটনায় ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেন নীলকমল সরকার ও বাদল বর্মণ। এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন সন্তানহারা দুই বাবা।

মূলত ৩টি দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন নীলকমল সরকার ও বাদল বর্মণ। প্রথম দাবি, ইসলামপুরের ঘটনায় সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, সেদিন গুলি চালিয়েছিল পুলিস-ই। পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দাঁড়িভিট স্কুলের ২ প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার ও বাদল বর্মণের। কিন্তু পুলিস সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিসের বক্তব্যে তাঁদের কোনও আস্থা, ভরসা নেই। এই ঘটনায় সত্য উদ্ঘাটনের জন্য তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ করেছেন তিনি।

নীলকমল সরকার ও বাদল বর্মণ

আরও পড়ুন, মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাত? জোরালো হচ্ছে নাশকতার তত্ত্ব

দ্বিতীয় দাবি, নিহত ছাত্রদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তৃতীয় দাবি, গুলিতে নিহত ছাত্রদের দেহের পুনরায় ময়নাতদন্ত করতে হবে। আদলত চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের প্রতিও অনাস্থা প্রকাশ করেন নিহত ২ ছাত্রের বাবা। ক্ষোভের সুরে বলেন, ঘটনার পর মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ইসলামপুর এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। গ্রামে আসেননি। এই পরিস্থিতে রাজ্য সরকারের প্রতিও তাঁরা কোনও আস্থা রাখতে পারছে না বলে দাবি করেছেন।

পড়ুয়াদের দাবি অমান্য করে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসামপুরের দাড়িভিট স্কুল। ছাত্র-পুলিস সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। অভিযোগ, তারপরই গুলি চালায় পুলিস। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজেশ সরকারের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাপস বর্মণকে। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তুঙ্গে ওঠে শাসক-বিরোধী তরজা। নিহত ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বাম প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ-অবরোধ করে বিজেপিও। যদিও পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ খারিজ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন, বালিতে চলন্ত ট্রেনে 'আগুন'! প্রাণভয়ে লাইনে ঝাঁপ যাত্রীদের

প্রসঙ্গত, ইসলামপুর গুলিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিস। এই ঘটনার তদন্তভার প্রথমে জেলা পুলিসের হাতে ছিল। পরে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় নবান্ন।

.