ছন্দে চলছে প্রতিস্থাপিত হৃদযন্ত্র, ‘ভালো আছেন দিলচাঁদ’
পরিবারের কারোর সঙ্গে এখনও দিলচাঁদকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর এখনও তাঁর শরীরে কোনও নেতিবাচক উপসর্গ দেখা যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছন্দে চলছে তাঁর প্রতিস্থাপিত হৃদয়। ভালো আছেন ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিং। সোমবার কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালে তাঁর হার্ট ট্রান্সপ্লাট হয়। আর এরই মাধ্যমে চিকিত্সাবিজ্ঞানে কলকাতা তথা পূর্ব ভারতে এক অনন্য নজির তৈরি হয় ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলচাঁদের শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক। প্রায় ৯ঘণ্টার মাথায় তাঁর জ্ঞান ফিরে এসেছেন। ইশারায় কথা বলছেন দিলচাঁদ। তাঁর ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেন্টিলেশন করা হয়েছে। তাঁকে এখনও ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন। পরিবারের কারোর সঙ্গে এখনও দিলচাঁদকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর এখনও তাঁর শরীরে কোনও নেতিবাচক উপসর্গ দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: হৃদয় প্রতিস্থাপন করে বেনজির সাফল্য কলকাতার
সোমবার ঝাড়খণ্ডের স্কুলশিক্ষক দিলচাঁদের হৃদয় প্রতিস্থাপিত হয়। বেঙ্গালুরুতে পথ দুর্ঘটনায় আহত হন বরুণ ডিকে নামে এক ব্যক্তি। ১৯ মে স্পর্শ হাসপাতালে তাঁর ব্রেন ডেথ হয়। হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় চেন্নাইয়ের মালহার ফর্টিস হাসপাতালের সঙ্গে। সেই হাসপাতালে তখন গ্রহিতা ছিল না। যোগাযোগ করা হয় কলকাতা ফর্টিসের সঙ্গে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিং ভর্তি রয়েছেন। দিলচাঁদের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে।
এরপরই চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু উড়ে যান চিকিত্সকরা। যোগাযোগ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জাতীয় অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংগঠন NOTO র সঙ্গে। দুই তরফে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই বরুণ ডিকে-র শরীর থেকে হৃদপিণ্ড বার করে নেওয়া হয়। সোমবার সকাল ৭টায় হার্ট সংগ্রহ করা হয়। বরুণ, দিলচাঁদ-দুজনেরই ব্লাড গ্রপ A পজিটিভ। বেঙ্গালুরু থেকে জারবন্দি হৃদপিণ্ড চার্টার্ড বিমানে নিয়ে আসা হয় কলকাতা। আর কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হার্ট বাইপাস ধরে মাত্র ১৯ মিনিটে পৌঁছয় আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে। সোমবার প্রায় আডা়ই ঘণ্টা ধরে চলে দিলচাঁদের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের অপারেশন।