আলমারিতে লুকিয়েছিলেন 'খদ্দের'! পর্দাফাঁস মধুচক্রের কারবারের
অভিযুক্তদের বেধড়ক মারধরের পর জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরানো হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বামীর অবর্তমানে বাড়িতে চলছিল দেহব্যবসার রমরমা কারবার। স্থানীয় বাসিন্দারা হানা দিতেই পর্দাফাঁস হল মধুচক্রের। হাতেনাতে ধরা হল এক মহিলা সহ দুই ব্যক্তিকে। অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে আবার ধরা হল গোদরেজের আলমারি ভেঙে! ঘটনাটি কোচবিহারের।
কোচবিহারের কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা মেনকা সরকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই বাড়িতে মধুচক্রের আসর ফেঁদে বসেছিলেন তিনি। বাড়িতে বহিরাগতদের নিত্য আনাগোনা লেগেছিল। বেশ কয়েকবার আপত্তি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কারোর কোনও কথাই কানে তোলেননি মেনকা সরকার। এলাকাবাসীর ওজর-আপত্তি তোয়াক্কা না করেই তিনি বহাল তবিয়তে 'ব্যবসা' চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন, রক্তাক্ত ইন্দ্রলোক! ঘরের বাইরে উদ্ধার পরিচারিকা, ভিতরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মিলল যুবক
মঙ্গলবার রাতে ফের দুই অপরিচিত ব্যক্তিকে মেনকা সরকারের বাড়িতে ঢুকতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা মেনকা সরকারের বাড়িতে চড়াও হন। কেউ যাতে পালাতে না পারেন, সেজন্য বাড়ির বাইরে থেকে তালা মেরে দেন। সারারাত অপেক্ষার পর বুধবার সকালে বাড়ির ভিতর ঢুকে হাতেনাতে ধরেন দুই 'খদ্দের'কে।
জানা গেছে, ধৃত দুই ব্যক্তি দুজনেই পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। স্থানীয়দের মারের হাত থেকে বাঁচতে তাঁদের মধ্যে একজন আলমারির ভিতরে ঢুকে লুকিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। স্টিলের আলমারি ভেঙে তাঁকে টেনে বের করেন স্থানীয়রা। তারপরই শুরু হয় উত্তমমধ্যম।
আরও পড়ুন, গন্ধ পেয়ে দরজা ভাঙতেই উদ্ধার বৃদ্ধার পচাগলা 'নগ্ন' দেহ! পাশেই বসে ছেলে
অভিযুক্ত মেনকা সরকার, তাঁর ছেলে ও দুই ব্যাঙ্ককর্মীকে বেধড়ক মারধরের পর জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরান স্থানীয়রা। পরে পুলিস এসে অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায়।