কাজের চাপে হাঁসফাঁস প্রেম! প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর পেয়ে আত্মঘাতী প্রেমিকও
কাজের চাপে সদা ব্যস্ত প্রেমিক। দেখা করার সময় হয় না। তাই নিয়েই অভিমান হত প্রেমিকার। বৃহস্পতিবার সেই নিয়েই কথা কাটাকাটি হয় দুজনের মধ্যে। আর তারপরই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিকা। এদিকে, প্রেমিকার মৃত্যুসংবাদ পেতেই উধাও হয়ে যায় প্রেমিক। এরপর শুক্রবার বেলার দিকে গ্রামের অদূরেই প্রেমিকেরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বাঁকুড়ার সানবাঁধা গ্রামের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কাজের চাপে সদা ব্যস্ত প্রেমিক। দেখা করার সময় হয় না। তাই নিয়েই অভিমান হত প্রেমিকার। বৃহস্পতিবার সেই নিয়েই কথা কাটাকাটি হয় দুজনের মধ্যে। আর তারপরই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিকা। এদিকে, প্রেমিকার মৃত্যুসংবাদ পেতেই উধাও হয়ে যায় প্রেমিক। এরপর শুক্রবার বেলার দিকে গ্রামের অদূরেই প্রেমিকেরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বাঁকুড়ার সানবাঁধা গ্রামের।
সানবাঁধা গ্রামের যুবক টুবাই লোহার সঙ্গে প্রায় ৪ বছরের সম্পর্ক ছিল ওই একই গ্রামের বাসিন্দা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শিউলি মণ্ডলের। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থায় ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজে যোগ দেন টুবাই। কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই প্রেমিকা শিউলির সঙ্গে সেভাবে দেখাসাক্ষাত্ হত না তাঁর। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফোনে টুবাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় শিউলির। এরপরই নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শিউলি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিত্সকরা শিউলিকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন, টাকা চেয়ে না পেয়ে গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারল স্বামী!
এদিকে সেই খবর তাঁর কাছে পৌঁছতেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় টুবাই। বৃহস্পতিবার রাতভর খোঁজ করেও টুবাইয়ের কোনও সন্ধান মেলেনি। এরপর শুক্রবার বেলার দিকে টুবাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী। যুগলের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকস্তব্ধ সানবাঁধা গ্রাম।