বিজেপি-কে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট চান কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর

 মৌসুমের এই জোট বার্তা-কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত চ্যাটার্জি। তিনি বলেন কংগ্রেস অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে আর সেই কারণেই এই সব অনৈতিক জোট করার চেষ্টা করছে। যতই জোট করুক বিজেপিকে আটকাতে পারবেনা।

Updated By: Nov 1, 2018, 12:17 PM IST
বিজেপি-কে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট চান কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে আটকাতে তৃণমূলের সাথে রাজ্যে জোট চায় মালদা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর বলেন কেবল মালদা জেলা বা এই রাজ্যে নয় সারা দেশেই বিজেপির বিরুদ্ধে মহা জোট হচ্ছে। আমরা এই রাজ্যে বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসের সাথে তৃণমূলের জোট হোক।

আরও পড়ুন- ‘রাস্তায় পাঁচিল তুলে বিজেপির রথ আটকাবে সিপিএম’

 তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি দুলাল সরকার বলেন আমাদের দলে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমাদের নেত্রী নেবে এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার বা করার নেই।

 মৌসুমের এই জোট বার্তা-কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত চ্যাটার্জি। তিনি বলেন কংগ্রেস অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে আর সেই কারণেই এই সব অনৈতিক জোট করার চেষ্টা করছে। যতই জোট করুক বিজেপিকে আটকাতে পারবেনা। 

আরও পড়ুন- ওদের কংগ্রেসের হাত ছাড়তে কে বলেছিল কে জানে? বামেদের কটাক্ষ সোমেনের

এদিকে গত  মঙ্গলবার  সূর্যকান্ত মিশ্রের বন্ধুত্ব বার্তায় সাড়া দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সোমবার বিজেপিকে আটকাতে প্রয়োজনে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। স্বাগত জানিয়ে আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বললেন আলিমুদ্দিনের বার্তা পৌঁছে দেবেন তুঘলক রোডে। লোকসভা ভোটের আগে কি তাহলে রাজ্যে নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা? চলছে আলোচনা।

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ। সোমবার বামেদের পর মঙ্গলবার কংগ্রেস। সল্টলেকে সিবিআই অফিসের সামনে দু'পক্ষই বিক্ষোভে সামিল। প্রথমদিন কংগ্রেসের দিকে হাত বাড়ানোর কথা বললেন সূর্যকান্ত মিশ্র। পরের দিনই সেই হাত ধরার কথা জানিয়ে দিল প্রদেশ কংগ্রেস। সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে শুক্রবার দিল্লির রাস্তায় নামেন রাহুল গান্ধী। সেদিন রাহুলের পাশে তৃণমূলের তরফে ছিলেন শুধুমাত্র সাংসদ নাদিমুল হক। এ প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনে তৃণমূলের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সোমেন মিত্র। তবে, বিধানসভা ভোটে হাত ধরলেও পরে সিপিএম সেই বন্ধুত্ব থেকে সরে আসে। একথা মনে করিয়ে দিতেও ভোলেনি কংগ্রেস।

.