মায়ের সঙ্গে পাড়ার ‘কাকু’কে এক বিছানায় দেখে ফেলেছিল সাত বছরের ছেলে! পরিণতি...
দেহটি গাছের গুড়িতে হেলান দিয়ে ছিল। ওড়না দিয়ে তিন-চার বার পেঁচানো ছিল দেহটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতে চুড়ির সংখ্যা কম ছিল। আর ভাঙ চুড়ির টুকরো মিলেছিল দেহের পাশ থেকেই। বিষয়টি নজর এড়ায়নি পুলিসের। আর তাতেই ধরা পড়ল অপরাধী। নিজের সাত বছরের ছেলেকে খুনের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিস। গত শনিবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক বালকের নগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিসের হাতে।
গত শনিবার রায়গঞ্জের রায়পাড়ায় গাছের নীচ থেকে একটি সাত বছরের বালকের নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেহটি গাছের গুড়িতে হেলান দিয়ে ছিল। ওড়না দিয়ে তিন-চার বার পেঁচানো ছিল দেহটি। পুলিস সুপারের অফিসের ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। নড়েচড়ে বসে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: ‘রান্নায় নুন বেশি হয়েছে ভাই’, দিদির ফোন পেয়েই বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন ভাই
জানা যায়, ওই বালকের নাম দেবু রায়। স্থানীয় স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল দেবু। মনসা পুজোর রাত থেকে নিখোঁজ ছিল সে। শনিবার তার দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, দেবুর খুনের ঘটনায় জড়িত তার নিজের মা-ই।
দেবুর বাবা বাদল রায় কাজের জন্য শিলিগুড়িতে থাকেন। দেবুর মা বিমলার সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের প্রেম রয়েছে। মায়ের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘কাঁটা’ হয়ে উঠেছিল দেবু। সে কয়েকবার তার মাকে ওই যুবকের সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে। এরপরই প্রেমিকের পরামর্শেই নিজের পথের ‘কাঁটা’ সরাতে ছেলেকে খুন করে বিমলা।
আরও পড়ুন: দেহ চুল্লিতে ঢোকানো হচ্ছিল, আচমকাই বেজে উঠল শ্মশান কর্মীর ফোন!
ঘটনার পর থেকেই বিমলার হাতের চুড়ির সংখ্যা কম ও সেই ধরনের চুড়ি দেবুর দেহের পাশে পাওয়া যায়। বিমলার ওপর সন্দেহ গাঢ় হতে থাকে। লাগাতার বিমলাকে জেরা করতে থাকে পুলিশ। তবে পেশাদার খুনির মতই সে নিজেকে আড়ালে রাখতে বিভিন্ন গল্প ফেঁদে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে গেছে। কিন্তু সোমবার সকালে পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে বিমলা, সব কিছুই স্বীকার করে নেয় সে। বিমলার প্রেমিকের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।