উদ্ধার কন্ডোম, গর্ভনিরোধক; রানিগঞ্জের ভাড়া বাড়িতেই কি শিল্পার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন রাজীব?
শিল্পা আগরওয়ালকে খুনের পরই অপরাধ ধামাচাপা দিতে নয়া ছক কষে রাজীব আর মণীষা। কিন্তু, শেষমেশ পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায় দম্পতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গাপুরের বেনাচিতি আবাসনে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে আরও নতুন নতুন সূত্র হাতে এল পুলিসের। রানিগঞ্জের গির্জাপাড়ায় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রাজীব কুমারের ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল শিল্পার অন্তর্বাস ও মোবাইল। গির্জাপাড়ার বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক ও শিল্পার পোশাকও। এরপরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই বাড়িতেই শিল্পার সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতেন ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রাজীব কুমার?
৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আসানসোলের রাঙানিয়ায় মাসির বাড়ি আসেন শিল্পা। ঘণ্টা দেড়েক পর সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যান তিনি। ২ দিন পেরিয়ে গেলেও বাড়ি পৌঁছন না শিল্পা। যদিও তিনি ফোনে জানিয়েছিলেন, আসানসোলেই আছেন। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরের বেনাচিতি আবাসনের লিফটের সামনে স্টোররুম থেকে শিল্পার ট্রলিবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, গত শুক্রবারই বেনাচিতিতে নিজের ফ্ল্যাটে শিল্পাকে ডেকে নেন রাজীব। রাতে ওই ফ্ল্যাটে আসেন রাজীব। পুলিসের অনুমান, বাড়িতে মিথ্যে বলে রাজীব কুমারের দুর্গাপুরের ফ্ল্যাটে চলে যান শিল্পা। পরে সেই ফ্ল্যাটেই তাঁকে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন, দুর্গাপুরের আবাসনে তরুণীর ট্রলিবন্দি নগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়
এদিকে, শিল্পা আগরওয়ালকে খুনের পরই অপরাধ ধামাচাপা দিতে নয়া ছক কষে রাজীব আর মণীষা। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে যাবতীয় রোষ লুকিয়ে রাজীবের সঙ্গে সম্ভবত সমঝোতা করে ফেলেন মণীষা। শিল্পার দেহ লোপাট করতে হাত মেলান দুজন। সেই অনুযায়ী ফেঁদে ফেলেন ছকও। কিন্তু, শেষমেশ পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায় দম্পতি।