পলাতক প্রেমিক, স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর
কিশোরীর অভিযোগ, প্রায় আট মাস আগে স্থানীয় যুবক সিন্টু মণ্ডলের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করে সিন্টু। কিন্তু এরপর সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, কাউকে কিছু না জানাতে তাকে চাপ দিতে থাকে সিন্টু। কিন্তু ঘটনার কথা চাপাচাপি থাকেনি। সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই দুই বাড়ি থেকে দুজনের বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু এরমধ্যেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় সিন্টু।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়েতে গররাজি প্রেমিক গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে। এদিকে সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে কিশোরী। পুলিসের কাছে গেলেও মেলেনি সাহায্য। এই পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে ওই কিশোরী। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার খানপুর গ্রামে।
কিশোরীর অভিযোগ, প্রায় আট মাস আগে স্থানীয় যুবক সিন্টু মণ্ডলের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করে সিন্টু। কিন্তু এরপর সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, কাউকে কিছু না জানাতে তাকে চাপ দিতে থাকে সে। কিন্তু ঘটনার কথা চাপাচাপি থাকেনি। সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই দুই বাড়ি থেকে দু'জনের বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু এরমধ্যেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় সিন্টু।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, পলাতক সিন্টুকে খুঁজতে তারা সুতাহাটার থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সাহায্য করার বদলে তাঁদের কাছ থেকে ঘুষ চায় সুতাহাটা থানার পুলিস। এমনকি অভিযুক্তের বাড়ির লোকজন তাঁদেরকে লাগাতার খুনের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ ওই কিশোরীর পরিবারের।
আরও পড়ুন, ভাইঝিকে ধর্ষণের অভিযোগ কাকার বিরুদ্ধে
এই পরিস্থিতিতে হলদিয়া মহকুমা শাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানায় অসহায় ওই কিশোরী। পরিবারের দাবি, এমন অবস্থায় প্রশাসন পাশে না দাঁড়ালে তাঁদের আর কিছু করার নেই। এমন আবেদন পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানবাধিকার কমিশন। জেলার সব থানায় পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত সিন্টু মণ্ডলের ছবি। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।