ডিভিশন বেঞ্চ নিরাপত্তায় সন্তুষ্ট না হলে ভোটের দিন ঘোষণার মানে কী, প্রশ্ন সিঙ্গল বেঞ্চে
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, ডিভিশন বেঞ্চ নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে ভোটের দিন ঘোষণার মানে কী?
নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেওয়ার আগেই কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করেছে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে এই ভোটের দিন ঘোষণার মানে কী? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। প্রথমে ৩ দফায় ভোট ঘোষণা করে পরে আবার ১ দফায় ভোট ঘোষণা কেন? ১ দফার ভোটে কীভাবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা হবে, প্রশ্ন তুলছে বিরোধীর দলগুলি। এই মুহূর্তে চলছে শুনানি।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে এদিন যেসব উল্লেখযোগ্য যুক্তি ও প্রতিযুক্তি সামনে এসেছে, সেগুলি দেখে নিন এক নজরে-
সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, পিডিএসের আইনজীবী : কেন ভোটের দিন ঘোষণার পর বিরোধিদের সঙ্গে আলোচনা? ১ দফায় ভোটের দিন ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলিকে ডেকে কমিশন আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করেছে।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার : ভোটের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কাজ কতদূর এগিয়েছে?
শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়, কমিশনের আইনজীবী : সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কাজ চলছে। রাজনৈতিক দলগুলির আপত্তিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, পিডিএসের আইনজীবী : ভোটের দিন ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলিকে ডেকে কমিশন আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করেছে।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার : ধরে নেওয়া যেতে পারে কমিশন নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ায় ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট দেওয়ার আগেই ভোটের দিন ঘোষণা করেছে। এটা কি প্রস্তাবিত দিন?
শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়, কমিশনের আইনজীবী : ১৪ মে ভোট, এটা চূড়ান্ত ঘোষণা। আমাদের ডিভিশন বেঞ্চকে সন্তুষ্ট করতে হবে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করব।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা : কমিশন যে ভোটের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে সেটা উপেক্ষা করা যায় না। এই আর্জি শোনার এক্তিয়ার আদালতের নেই।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার : ডিভিশন বেঞ্চ নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে ভোটের দিন ঘোষণার মানে কী?
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা : ভোট করার জন্য দিন ঘোষণা করতেই হতো। আরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া যেতেই পারে।
কিশোর দত্ত, অ্যাডভোকেট জেনারেল : ভোট বন্ধ করতেই আদালতে আর্জি জানানো হচ্ছে। নিরাপত্তার বিষয়টি ডিভিশন বেঞ্চের ওপরই ছাড়া হোক।
লক্ষ্মী গুপ্ত, বিজেপির আইনজীবী : কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে তা নিয়ে কমিশন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই সিভিক ভলান্টিয়ার, বনরক্ষীদের নিরাপত্তার কাজে লাগানোর কথা বলা হচ্ছে।