BJP: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই ধুন্ধুমার, বিজেপি জেলা কার্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মীদের

পিন্টু সামের নেতৃত্বে হাতুড়ি এবং লাঠি  নিয়ে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের দিকে তেড়ে যায় একদল কর্মী। ঘটনার সূত্রপাত হয় মাসখানেক আগে থেকে। বর্ধমান সদর জেলার সহ সভাপতি শ্যামল রায়কে শোকজ করার পরেই কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। এরই মধ্যে বহিষ্কার করা হয় শ্যামলকে।

Updated By: Apr 6, 2023, 04:59 PM IST
BJP: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই ধুন্ধুমার, বিজেপি জেলা কার্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মীদের
নিজস্ব চিত্র

অরূপ লাহা: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই বিজেপি জেলা কার্যালয়ে ধুন্ধুমার। বৃহস্পতিবার একদল বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী রাজু পাত্রের নেতৃত্বে পূর্ব বর্ধমানের ঘোরদৌড়চটির জেলা কার্যালয়ের সামনের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পাশাপাশি গেটের সামনে চলে বিক্ষোভ। দলের কার্যালয়ের ভিতরে আটকে পড়েন জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সাম সহ অন্যান্যরা। এরপর তালা খোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। তবুও বিক্ষুব্ধরা তালা না খোলায় পার্টি অফিস থেকে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে দেয় এক কর্মী। যা নিয়ে শুরু হয় হাতাহাতি।

পিন্টু সামের নেতৃত্বে হাতুড়ি এবং লাঠি  নিয়ে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের দিকে তেড়ে যায় একদল কর্মী। এতেই পিছু হটে বিক্ষুব্ধ  বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিস। পরবর্তীকালে তারাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরই মধ্যে, বিজেপি কার্যালয়ের উল্টো দিকে বিক্ষুব্ধদের অস্থায়ী ক্যাম্প ভেঙে দেয় যুব মোর্চার কর্মীরা।

ঘটনার সূত্রপাত হয় মাসখানেক আগে থেকে। বর্ধমান সদর জেলার সহ সভাপতি শ্যামল রায়কে শোকজ করার পরেই কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। তিনি দল নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

এরই মধ্যে বহিষ্কার করা হয় শ্যামলকে। এরপর আরও কয়েকজন নেতা কর্মী এবং পদাধিকারী পদত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ চরম আকার নেয়। যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সাম বলেন, দলে থাকতে গেলে দলের নিয়মনীতি মেনেই চলতে হবে। দলই ঠিক করে কে কোন পদে থাকবে। তাই দলবিরোধী কোন কাজ আমরা বরদাস্ত করব না।

আরও পড়ুন: Duare Sarkar: সাধারণ মানুষের হয়রানি! দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে ভাঙচুর চালালেন তৃণমূল নেতাই....

বিক্ষুব্ধ রাজু পাত্রের অভিযোগ, অযোগ্য সভাপতি অভিজিৎ তা একদম নিস্ক্রিয়। ফলে দলীয় কাজ ব্যহত হচ্ছে। আন্দোলন গতি পাচ্ছে না।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি জেলা অফিসে ভাংচুর হয়। তৎকালীন জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে সরিয়ে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে সভাপতির দায়িত্ব পান অভিজিৎ তা। কিন্তু, জেলায় বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কার্যত হাওয়া হয়ে যান সভাপতি এমনটাই অভিযোগ কর্মীদের একাংশের।

আরও পড়ুন: Purulia, Murder: নৃশংস খুনের পর নুন মাখিয়ে স্বামীর দেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে স্ত্রী! গ্রেফতার মূলচক্রী প্রেমিক

এই নিয়ে ক্ষোভ ছিল দলের অন্দর মহলেই। সেই ক্ষোভ দিনে দিনে বিরাট আকার নিচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক মুহুর্তে এই কোন্দল মিটিয়ে কিভাবে সংগঠন মজবুত করে বিজেপি, এখন সেটাই দেখার।

রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের কটাক্ষ, ‘বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ’।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 

.