জোড়াফুলের নজরবন্দি পদ্মফুল

এলাকায় বিজেপি যদি কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জানাতে হবে দলের উচ্চ স্তরে। বিজেপি যদি আড়ালে সংগঠন তৈরির চেষ্টা করে, নজর রাখতে হবে তার উপরও। এর পাশাপাশি, বিজেপি কোথাও কোনও সভা বা মিছিল করলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানেই পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে জোড়াফুল কর্মীদেরও।

Updated By: Jan 15, 2018, 09:27 PM IST
জোড়াফুলের নজরবন্দি পদ্মফুল

কমলিকা সেনগুপ্ত: চোখে চোখে রাখতে হবে। গভীরভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে গেরুয়া শিবিরের প্রতিটি পদক্ষেপ। সংগঠনের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত এই নির্দেশিকা স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু ঠিক কী করতে হবে তৃণমূল কর্মীদের?

এলাকায় বিজেপি যদি কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জানাতে হবে দলের উচ্চ স্তরে। বিজেপি যদি আড়ালে সংগঠন তৈরির চেষ্টা করে, নজর রাখতে হবে তার উপরও। এর পাশাপাশি, বিজেপি কোথাও কোনও সভা বা মিছিল করলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানেই পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে জোড়াফুল কর্মীদেরও।

আরও পড়ুন- মুকুল রায়ের সভার আগে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুুর, আগুন

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে অমিত শাহ কলকাতায় সভা করার পর, ঠিক সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সভা করেছিল তৃণমূল। সম্প্রতি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় সভা করেন রানি রাসমণি রোডে। ঠিক তার পরই ওই একই এলাকায় সভা ডাকে যুব তৃণমূল। এছাড়া, অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুক বীরভূম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পদ্ম শিবিরের সভার পাল্টা সভা করে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাত্ রাজ্যে মাথাচাড়া দেওয়া বিজেপিকে নজরবন্দি রাখার কৌশল আগেই গ্রহণ করেছে তৃণমূল। তবে এবার সার্বিকভাবে প্রয়োগ করা হবে নজরদারির কৌশল। এই কৌশল সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে পারলে দলের অভ্যন্তরীণ 'গোয়েন্দাগিরি'র ক্ষমতা কতটা সুসংগঠিত তাও বোঝা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

.