যে বালতিতে ফসলে দেওয়া হয় কীটনাশক, সেই বালতির জলই দেওয়া হল নিমন্ত্রিতদের, অতঃপর...
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাহাদুরপুর গ্রামের এক চাষি পরিবারে অনুষ্ঠান ছিল। গ্রামের বেশ কয়েকজনকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন অনেকে। রাতে খাওয়াদাওয়ারও ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু রাতের সেই খাবার খাওয়ার পরই অসহ্য পেটে ব্যথা শুরু হয় নিমন্ত্রিত, সঙ্গে বমি, একাধিক উপসর্গ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ২ জনের। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিন্তু কী এমন ঘটল? জলপাইগুড়ির বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে বালতির জলে ফসলে দেওয়ার জন্য কীটনাশক গোলা হয়েছিল, সেই বালতি করেই ফের জল খেতে দেওয়া হয়েছিল নিমন্ত্রিতদের। এখনও পর্যন্ত মুস্তাক আলি ও নাজিমুদ্দিন নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- সিনেমার থ্রিলকেও হার মানাবে খড়দহের ঘটনা, ১৪ বছর আগের আরও ৪ রহস্যমৃত্যুর তদন্তে পুলিস
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাহাদুরপুর গ্রামের এক চাষি পরিবারে অনুষ্ঠান ছিল। গ্রামের বেশ কয়েকজনকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, রাতে খাবার খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অসুস্থদের। বমি, অসহ্য পেটেব্যথার উপসর্গ দেখা দেয় প্রত্যেকের মধ্যে।
হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মুস্তাক আলি ও নাজমুদ্দিনের। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের টিম পাঠানো হয়। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই কৃষকের বাড়িতে আলু চাষ হয়। চাষের জমিতে বালতির জলে কীটনাশক গুলিয়ে দেওয়া হয় । সেই বালতিতেই জল খেতে দেওয়া হয়েছিল নিমন্ত্রিতদের। খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার।