পঞ্চায়েত ভোটের আগে কল্পতরু অমিত; বাজেটে চমক 'রূপশ্রী', 'মানবিক'

বিধানসভায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। প্রতিবারের মতো এবারও সামাজিক খাতে জোর দেওয়া হল বাজেটে। এবারের বাজেটে নয়া চমক 'রূপশ্রী' ও 'মানবিক' নামে দু'টি প্রকল্প।

Updated By: Jan 31, 2018, 05:22 PM IST
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কল্পতরু অমিত; বাজেটে চমক 'রূপশ্রী', 'মানবিক'

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। প্রতিবারের মতো এবারও সামাজিক খাতে জোর দেওয়া হল বাজেটে। এবারের বাজেটে নয়া চমক 'রূপশ্রী' ও 'মানবিক' নামে দু'টি প্রকল্প।

এর আগেই কন্যাসন্তানদের জন্য 'কন্যাশ্রী' প্রকল্প নিয়ে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মূল লক্ষ্য রাজ্যের কন্যাসন্তানদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার। এবার রাজ্যের কন্যাসন্তানদের জন্য সরকার নিয়ে এল 'রূপশ্রী' নামে নতুন একটি প্রকল্প। বাজেট ভাষণে এই প্রকল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প বলে উল্লেখ করেন অমিত মিত্র। একইসঙ্গে শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য 'মানবিক' নামে আরও একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে এল রাজ্য সরকার।

একনজরে রাজ্য বাজেট ২০১৮

- ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জন্য মোট বরাদ্দ ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৫৮.৭৫ কোটি টাকা।

- রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য আরও বেশি করে কর্মসংস্থান তৈরি। জিএসটির ধাক্কা সামলে গত অর্থবর্ষে রাজ্যে হয়েছে ৮ লাখ কর্মসংস্থান।

- গৃহনির্মাণ শিল্পে গ্রামাঞ্চল ও শহরে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত মূল্যের সম্পত্তি ক্রয়ে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ১ শতাংশ ছাড়। এতদিন ৪০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পত্তির উপর গ্রামাঞ্চলে স্ট্যাম্প ডিউটি ছিল ৬ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ছিল ৭ শতাংশ। এবার থেকে তা হবে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৬ শতাংশ।

- আগামী দুই অর্থবর্ষের জন্য চা বাগানগুলির কৃষি আয়করে ১০০ শতাংশ ছাড়।

- বর্তমানে চা পাতা উত্পাদনের উপর শিক্ষা সেস ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান সেস নেওয়া হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জন্য মকুব এই দু'ধরনের সেস।

- নোট বাতিলের ফলে ভেঙে পড়েছে কৃষি অর্থনীতি। কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে এবার থেকে কৃষির জন্য জমি কিনলে আর মিউটেশন ফি নেওয়া হবে না।

- কৃষিতে রাজ্য নজির তৈরি করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সবজি উত্পাদনে দেশে প্রথম, আলু উত্পাদনে দেশে দ্বিতীয়।

- কৃষকদের অভাবি বিক্রি রুখতে গঠন করা হবে ১০০ কোটির বিশেষ তহবিল।

- কৃষকদের জন্য রাজ্য কৃষক বার্ধক্য ভাতা মাসে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব।

- একইসঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে ভাতাপ্রাপকদের সংখ্যাও। এখন থেকে ১ লাখ কৃষক এই ভাতা পাবেন। আগে এই ভাতা পেতেন ৬৬ হাজার কৃষক। আরও ৩৪ হাজার কৃষককে বার্ধক্য ভাতার আওতায় আনা হল।

- কন্যাশ্রী-দের জন্য বার্ষিক বৃত্তি ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ১০০০ টাকা।

- যে সব পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লাখের নীচে, তাদের জন্য রাজ্য সরকারের নয়া প্রকল্প 'রূপশ্রী'। ১৮ বছরের পর মেয়ের বিয়ের সময় 'রূপশ্রী' প্রকল্পে এককালীন সাহায্য দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা।

- রূপশ্রী প্রকল্পে বরাদ্দ ১৫০০ কোটি টাকা। উপকৃত হবে প্রায় ৬ লাখ পরিবার।

- শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রাজ্য সরকারের বিশেষ প্রকল্প 'মানবিক'। এই প্রকল্পে ২ লাখ সুবিধাভোগীকে মাসে ১০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হবে।

- ৫০ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন সব ব্যক্তিরাই এই সুবিধা পাবেন। 'মানবিক' প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২৫০ কোটি টাকা।

অনেক বাধা সত্ত্বেও রাজ্যে উন্নয়নের গতি অব্যাহত বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। কবিগুরুকে উদ্ধৃত করে নিজের বাজেট বক্তৃতা শেষ করেন অমিত মিত্র।

আরও পড়ুন, এসপ্তাহেই বিদায় নেবে শীত, আগামী সোমবার থেকে গরম পড়বে দক্ষিণবঙ্গে

.