ময়ূরেশ্বরে বহিরাগত বাইকবাহিনীর দাপাদাপি, ব্যালটবাক্স লুঠ মহম্মদবাজারে
"বুথের ২০০ মিটারের বাইরে যে-ই থাকবেন, সে-ই আনওয়ান্টেড। সবার জন্য একই নিয়ম।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে ধরা পড়ল বহিরাগতদের তাণ্ডবের ছবি। অভিযোগ, ময়ূরেশ্বরের ভাবঘাঁটিতে অশান্তি ছড়ানোর লক্ষ্যে বাইকে চড়ে এসে জমায়েত হচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়েই এসডিপিও রামপুরহাটের নেতৃত্বে অভিযানে নামে বিশাল পুলিসবাহিনী। এরপরই ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় দুষ্কৃতীদলকে।
জি ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ভাবঘাঁটি এলাকায় মুখে গামছা বেঁধে সারি দিয়ে যাচ্ছে বাইকের দল। তাদের গন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, উত্তর এড়িয়ে যায় বাইকবাহিনী। বাইক বাহিনীর প্রত্যেকের হাতেই ছিল লাঠি। খবর পেয়ে রামপুরহাটের এসডিপিও-র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিসবাহিনী। দলে ছিল RAF ও ভিন রাজ্যের পুলিসও। লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় দুষ্কৃতীদলকে। তারপরই বাইক ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীদল।
প্রসঙ্গত, ভোটের শুরু থেকেই ময়ূরেশ্বর ও মল্লারপুরে কিছু ব্যক্তির 'সন্দেহজনক' গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, গ্রাম ও বুথের মধ্যে জটলা করছে দুষ্কৃতীদল। এরপরই ভাগঘাঁটিতে দেখা মেলে বাইকবাহিনীর। তবে দুষ্কৃতীদের পরিচয় সম্পর্কে না জানা গেলেও, এসডিপিও রামপুরহাট স্পষ্ট জানান, "বুথের ২০০ মিটারের বাইরে যে-ই থাকবেন, সে-ই আনওয়ান্টেড। সবার জন্য একই নিয়ম।" পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন কোথাও ৪ জনের বেশি একসঙ্গে থাকা যাবে না।
আরও পড়ুন, বেলা বাড়তেই ভোট কাড়ল প্রাণ, এখন পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের বলি ৪
অন্যদিকে, বীরভূমের মহম্মদবাজারেও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ছড়াল। অভিযোগ, মহম্মদবাজারের কুলিয়া গ্রামের বুথে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ব্যালটবাক্স ছিনতাই করে পালায় দুষ্কৃতীদল। ভোট লুঠ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দেখুন বীরভূমের ভোটচিত্র-