বিরোধীদের অভিযোগে মান্যতা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট খারিজ করল আদালত

ভোটগ্রহণ হচ্ছে না ১, ৩, ৫ মে।  পঞ্চায়েত মামলার রায় ঘোষণা করল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কমিশনের পূর্ব ঘোষিত নির্ঘণ্ট খারিজ করে দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। নতুন করে মনোনয়ন জমার দিন ঘোষণা করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের নতুন নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতেও নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।

Updated By: Apr 21, 2018, 10:05 AM IST
বিরোধীদের অভিযোগে মান্যতা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট খারিজ করল আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটগ্রহণ হচ্ছে না ১, ৩, ৫ মে।  পঞ্চায়েত মামলার রায় ঘোষণা করল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কমিশনের পূর্ব ঘোষিত নির্ঘণ্ট খারিজ করে দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। নতুন করে মনোনয়ন জমার দিন ঘোষণা করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের নতুন নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতেও নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।

এদিন ৩৫ পাতার রায় পড়ে শোনান বিচারপতি। মনোনয়ন পর্বে বিরোধীদের তোলা হিংসার অভিযোগকে মান্যতা দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। কমিশনের ১০ এপ্রিলের নির্দেশ খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। ৯ এপ্রিল রাতে মনোনয়ন জমার সময়সীমা বাড়িয়েও, ১০ এপ্রিল সকালে তা ফের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। এদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার নির্দেশ দেন, ইচ্ছুক প্রতিনিধিদের ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। সেইকারণে বাড়াতে হবে মনোনয়ন জমার সময়সীমা। তবে সেইসঙ্গে আদালত সুস্পষ্ট করে এটাও জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই যেসব বৈধ মনোনয়ন জমা পড়েছে ও যে মনোনয়নপত্রগুলির পরীক্ষাপর্ব সমাপ্ত হয়েছে, সেগুলি মোটেই বাতিল করা হচ্ছে না।

মনোনয়পর্বে হিংসা, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েও কমিশনের পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া প্রভৃতি বিভিন্ন ইস্যুতে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। হাইকোর্টের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তবে ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চায়েত মামলা ফিরিয়ে দেয় হাইকোর্টেই। বিরোধীদের সব অভিযোগ ও কমিশনের যুক্তি শুনে পঞ্চায়েত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

এরপরই ১২ এপ্রিল পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবিধানের ২৪৩(ও) ধারাকে তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া একবার শুরু হয়ে গেলেও দেশের কোনও আদালত তাতে আর হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই ডিভিশন বেঞ্চের কাছে অবিলম্বে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজের আর্জি জানান তিনি।

কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি খারিজ করে ১৬ এপ্রিল ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠায় পঞ্চায়েত মামলা। একইসঙ্গে সিঙ্গল বেঞ্চকে নির্দেশ দেয়, প্রয়োজনে রোজ শুনানি করে দ্রুত পঞ্চায়েত মামলার নিষ্পত্তি করতে। তারপর থেকে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতি- টানা তিনদিন রোজ সিঙ্গল বেঞ্চে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি হয়। বৃহস্পতিবার শুনানিপর্বের শেষে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় রায় ঘোষণার কথা জানান। এদিন সেই পূর্ব ঘোষিত সূচি আনুযায়ী, মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।

.