কেন এতদিন অধরা ছিল মজিদ খুনে মূল অভিযুক্ত মুন্না খান?

অবশেষে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র খুনে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। নির্দেশ পেয়ে  উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীও অপরাধীর গ্রেফতারির দাবিতে বিবৃতি দেন।

Updated By: Jul 27, 2018, 11:21 AM IST
কেন এতদিন অধরা ছিল মজিদ খুনে মূল অভিযুক্ত মুন্না খান?

নিজস্ব প্রতিবেদন:   শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার কোচবিহারের তৃণমূল ছাত্রনেতা মজিদ আনসারি খুনে অভিযুক্ত মুন্না খান অরফে ভাইজান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মুন্নাকে গ্রেফতারে নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তেজনা কলকাতা থেকে কোচবিহার।

কে এই মুন্না খান?

কোচবিহারে ভীষণভাবে পরিচিত মুন্না খান

মুন্না খানের বিরুদ্ধে বাম জামানাতেও পুলিসের খাতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে মুন্না খানের

২০১৬ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী হন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে মুন্না খানের

দু’বছর আগে রাকেশ লামা নামের এক টিএমসিপি নেতাকেও গুলি করার অভিযোগ ওঠে মুন্না ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে নাম জড়ায় মুন্না খানের

অভিযোগ, মুন্না খান এলাকায় এতটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল যে, স্থানীয় বিধায়কে না জানিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর প্রত্যেক অনুগামীকে টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন

আরও পড়ুন: ছাত্রখুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে তৃণমূলের বনধে স্তব্ধ কোচবিহার

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই কোচবিহার কলেজের তৃণমূল ছাত্রনেতা মজিদ আনসারিকে গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় মূল অভিযোগের তির ওঠে মুন্না খানের দিকে।  বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি নার্সিংহোমে মজিদের মৃত্যু হয়। এতদিন অভিযোগের পরও কেন পুলিস মুন্নাকে গ্রেফতার করল না, তার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে কোচবিহার। হাত কেটে বিক্ষোভ দেখান কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। চলে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ।  

অবশেষে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র খুনে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। নির্দেশ পেয়ে  উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীও অপরাধীর গ্রেফতারির দাবিতে বিবৃতি দেন।

এরপর বিক্ষোভরত ছাত্রদের গিয়ে পুলিস জানায়, যে কোনও মূল্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে। নড়েচড়ে বসে পুলিসও। কোতোয়ালি থানার আইসি জানান ছাড় পাবেন না মুন্না খানও। সন্ধে থেকেই চূড়ান্ত তত্পরতা শুরু হয়ে যায় জেলা পুলিসে। দফায় দফায় বৈঠক চলে পুলিস সুপারের ঘরে। রাত ১১টা নাগাদ অন্য পুলিস কর্তাদের নিয়ে দফতর ছাড়েন এসপি  ভোলানাথ পাণ্ডে। রাত ১১.১০ নাগাদ কোতোয়ালি থানার আইসি-র নেতৃত্বে মুন্না খানের বাড়িতে যায় বিরাট পুলিসবাহিনী ও র‍্যাফ। রাত ১১.২০ নাগাদ গ্রেফতার করা হয় মুন্না খানকে। নিয়ে আসা হয় কোতোয়ালি থানায়।

যদিও গ্রেফতারির পর মুন্না খানের দাবি, তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূ্র্কি নষ্ট করতেই নাকি এই অভিযোগ।

.