বনধের দিনেই পরীক্ষা! প্রস্তুতিতে ঘাটতি, ৬০ শতাংশ নম্বর দাবি পড়ুয়াদের

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের দাবি, প্রত্যেক পড়ুয়াকেই ৬০% নম্বর দিতে হবে। এমনকি যারা আসতে পারেননি তাঁদেরও বঞ্চিত করা যাবে না।

Updated By: Sep 26, 2018, 03:09 PM IST
বনধের দিনেই পরীক্ষা! প্রস্তুতিতে ঘাটতি, ৬০ শতাংশ নম্বর দাবি পড়ুয়াদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: পরীক্ষার সূচি আগেই ঘোষণা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে সেই সূচি বদল করার ভাবনা চিন্তা করে তাঁরা। নোটিসও দেওয়া হয়, ২৬ তারিখের পরীক্ষা অন্যদিন নেওয়া হবে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দেন পড়ুয়ারা। এরপর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হঠাত্ জানানো হয় পূর্ব নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই সূচি পরিবর্তনে বিভ্রান্তিতে পরে পড়ুয়াদের একাংশ। এমনকি অনেকে আজ পরীক্ষাও দিতে আসতে পারেননি। আর যারা ক্যাম্পাসে এসে পরীক্ষায় বসেছেন তাঁরা ভাল করে পরীক্ষা দিতে পারেননি।  এমন অবস্থায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা দাবি তুলেছেন, এই পরীক্ষায় তাঁদের ৬০ শতাংশ নম্বর দিয়ে দিতে হবে।

আরও পড়ুন- সোনারপুরে রেল অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড, দেখুন সেই দৃশ্য

জানা যাচ্ছে, দুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয় এমএ পার্ট টু বাংলা বিষয়ের ষষ্ঠ পত্রের  পরীক্ষা নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার অর্থাত্  ২৬ সেপ্টেম্বর হবে না। পরিবর্তিত তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। বাকি পরীক্ষাগুলো নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই হবে। কিন্তু গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ৯ টা  নাগাদ  নিজেদের ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নতুন করে নোটিস জারি হয়। তাতে বলা হয় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই বুধবার বাংলা  ষষ্ঠ পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- ভাঙচুরের পর পুড়িয়ে দেওয়া হল বাস, জ্বলন্ত অবস্থাতেই ফেলে দেওয়া হল নয়ানজুলিতে

এই ঘটনায় আজ পরীক্ষা দিতে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। তাঁরা জানান বনধের কারণে অনেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি। যারাও বা এসেছেন তাঁদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এক প্রকার কষ্ট করেই পরীক্ষা হলে উপস্থিত হয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- নীতিহীন বিজেপির বনধ ব্যর্থ করেছে রাজ্যের মানুষই: মুখ্যমন্ত্রী

একবার পরীক্ষা হবে না ঘোষণা করার পর হঠাত্ মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ওয়েবসাইটে পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। সূচি বিভ্রান্তিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া যায়নি, এমনই দাবি করেছেন অনেকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের দাবি, প্রত্যেক পড়ুয়াকেই ৬০% নম্বর দিতে হবে। এমনকি যারা আসতে পারেননি তাঁদেরও বঞ্চিত করা যাবে না।

.