স্বামী কালো, তাই বাড়ির সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এই কাজই করলেন স্ত্রী!
অত্যুত্সাহী এক ব্যক্তি উঁকি দিতেই দেখেন, এ তো পরিচিত মুখ!
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামীর গায়ের রঙ কালো। তাই বিয়ের সময় থেকেই পছন্দ ছিল না স্ত্রীর। কিন্তু বাড়ির চাপে বিয়ে করতে হয়েছিল তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই সংসারে মন ছিল না। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে মন ধরেছিল অন্য পুরুষে। তাই স্বামীর সংসার ছাড়তে চরম পদক্ষেপ নিলেন স্ত্রী। দুপুরে খাবারের সঙ্গে বাড়ির সকলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাইরে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটেছে কালনার উতরা গ্রামে।
বুধবার সকালে কালনার এসটিকেকে রাস্তার ধার থেকে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। অত্যুত্সাহী এক ব্যক্তি উঁকি দিতেই দেখেন, এ তো পরিচিত মুখ! পেশায় রাজমিস্ত্রি ভোলা বৈরাগ্যকে তাঁর ভালো স্বভাবের জন্য এলাকার প্রত্যেকেই চিনতেন। কিন্তু কে এভাবে খুন করল তাঁকে, প্রথমটায় কিছুই ঠাওর করতে পারছিলেন না তাঁরা।
স্থানীয়রা প্রথমে খবর দেন পুলিস, পরে তাঁরা ভোলার বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করেন। দেখেন, বাড়ির প্রত্যেক সদস্যেই অঘোরে ঘুমোচ্ছেন। পুলিসও তাঁদের ডেকে তোলেন। বাড়ির ছেলের মর্মান্তিক পরিণতি শুনে আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে তাঁদের। পরে খোঁজ নিয়ে দেখেন বাড়ির বউ-ও বেপাত্তা। বুঝতে দেরি হয় না, এসবের পিছনে রয়েছে তাঁরই হাত। বাড়ির বউ-ই প্রথমে দুপুরে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রত্যেককে খেতে দেন। পরে স্বামীকে খুন করে চম্পট দেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে উখরার ভোলার সঙ্গে বিয়ে হয় মেমারির বাসিন্দা লক্ষ্মীর। পরিবারের দাবি, বিয়ের প্রথম থেকেই ভোলাকে মন থেকে স্বামী হিসাবে মেনে নিতে পারেননি লক্ষ্মী। তাই অশান্তি লেগেই থাকত। সম্প্রতি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লক্ষ্মী। ভোলা সেকথা জানতেনও। স্ত্রীকে আটকানোরও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তার পরিণতি যে এত মর্মান্তিক হল, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না পরিবারের সদস্য তথা প্রতিবেশীরা। লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।