মাথায় গুরুতর চোট ফুটবল পাগল কিশোরের, ফেরাল ৪ হাসপাতাল
আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল। বারাসতে হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন অর্নিবান কংসবণিক। জীবনে প্রথমবার। রক্তাক্ত অনির্বানকে মধ্যমগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান সঙ্গীরা। মাথায় ৫টি সেলাই পড়ে। সোমবার থেকে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা-বমি। হয়রানির শুরু এরপরই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রোগী ফেরানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরও মুখ ফেরাল কলকাতার চার-চারটে সরকারি হাসপাতাল। মাথায় গুরুতর চোটে আহত ফুটবল পাগল কিশোরকে নিয়ে রাতভর শহরের রাস্তায় ঘুরলেন পরিজনরা। কিন্তু, ভর্তি নিল না কেউ। হয়রানি এ অভিজ্ঞতা বালির অনির্বান কংসবণিকের।
আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল। বারাসতে হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন অর্নিবান কংসবণিক। জীবনে প্রথমবার। রক্তাক্ত অনির্বানকে মধ্যমগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান সঙ্গীরা। মাথায় ৫টি সেলাই পড়ে। সোমবার থেকে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা-বমি। হয়রানির শুরু এরপরই।
আরও পড়ুন: ছোট্ট সেই পৌলমীর ফুল তোলার হাত এখন ‘কৃত্রিম’
ছেলেকে নিয়ে প্রথমে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান বাবা। পরিকাঠামো না থাকার যুক্তি দেখিয়ে অর্নিবানকে কলকাতা মেডিক্যালে রেফার করে দেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে অনির্বানের কপালের হাড়ে চিড় ধরেছে। তিন জায়গায় জমাট বেধে রয়েছে রক্ত।
BIN জানিয়ে দেয় নিউরো সার্জেন নেই। তাই অনির্বানের চিকিত্সা শুরু হতে দেরি হবে। আর রিস্ক নেননি দ্বিজেনবাবু। আপাতত, তপসিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে অর্নিবানের। চিকিত্সকরা বলছেন, চোট যথেষ্ঠ গুরুতর। অস্ত্রোপচার জরুরি।
সরকারি হাসপাতাল মুখ ফেরালেও, পাশে দাঁড়িয়েছে ক্লাব। অনির্বানের চিকিত্সার পুরো খরচ বহন করার আশ্বাস দিয়েছে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবও অনির্বানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।