মুদিখানায় জিনিস কিনতে গিয়েছিল মেয়ে! একসপ্তাহ ধরে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় বসে বাবা-মা

বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সোজা বাড়িতে এসে হাজির হয়েছিল কালু। ফিরিয়ে দেয় কিশোরী।

Updated By: Aug 30, 2018, 01:19 PM IST
মুদিখানায় জিনিস কিনতে গিয়েছিল মেয়ে! একসপ্তাহ ধরে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় বসে বাবা-মা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। আর তাই তাকে অপহরণ করে এলাকার ২ যুবক। কিন্তু ঘটনার পর ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নিখোঁজ মেয়ের কোনও খোঁজ মেলেনি। ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের খোঁজে পুলিস কর্তাদের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মোথাবাড়িতে।

ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, স্থানীয় যুবক কালু শেখ প্রতিনিয়ত তাঁদের মেয়েকে উত্যক্ত করত। রাস্তায় বেরলেই কটূক্তি করত। কুপ্রস্তাব দিত। এমনকি নবম শ্রেণির ছাত্রীকে দিন কয়েক আগে বিয়ের জন্যও প্রস্তাব দেয় কালু। বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সোজা বাড়িতে এসে হাজির হয়েছিল কালু। কিন্তু সেই প্রস্তাবে কোনওভাবেই রাজি হয়নি তাদের বাড়ির মেয়ে। পত্রপাঠ বিদায় করে দেয় কালুকে। আর সেই আক্রোশেই তারপর ওই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়।

আরও পড়ুন, বস্তাবন্দি হাত-পা-মুণ্ডহীন দেহ! অন্তর্বাসের স্টিকার দেখে মিলল ব্যাঙ্ককর্মীর পরিচয়

চলতি মাসের ২৩ তারিখ, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যার সময় কিছু জিনিস কিনতে দোকানে যায় ওই কিশোরী। বাড়ির সামনেই মুদি দোকান থেকে জিনিস কিনতে গিয়েছিল সে। সঙ্গে তাঁর ছোট বোনও ছিল। অভিযোগ, সেইসময়ই স্থানীয় যুবক কালু শেখ ও তার সঙ্গী সাজিদ শেখ বাইক নিয়ে এসে তাদের রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। নির্জন রাস্তায় ওই কিশোরীকে জোর করে বাইকে তুলে নেয় অভিযুক্তরা। তারপরই বাইক ছুটিয়ে চম্পট দেয় ২ যুবক।

আরও পড়ুন, মা হতে চেয়েছিলেন! 'প্রেম' বাঁচিয়ে রাখতে স্ত্রী-কেই সরিয়ে দিলেন স্বামী

বাড়িতে ফিরে ঘটনার কথা খুলে বলে ওই কিশোরীর বোন। তারপরই মোথাবাড়ি থানায় পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে মেয়ের খোঁজে পুলিসের দোরে দোরে হন্যে হয়ে ঘুরছেন তাঁরা। কিন্তু পুলিস কার্যত হাত গুটিয়ে বসে আছে।

আরও পড়ুন, 'মারধর', চলন্ত ট্রেন থেকে মহিলাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি বৃহন্নলাদের

অবশেষে মেয়ের খোঁজ পেতে মালদা পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই কিশোরীর পরিবার। ৭ দিন ধরে কোনও খোঁজ না পেয়ে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে রয়েছে কিশোরীর পরিবার। মারাত্মক কোনও ক্ষতির আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছে তারা।

.