বইয়ের পাতার বহ্নিশিখারা

One more Unfortunate, Weary of breath, Rashly importunate, Gone to her death! Take her up tenderly, Lift her with care; Fashioned so slenderly, Young, and so fair!

Updated By: Mar 8, 2013, 02:40 PM IST

One more Unfortunate,
Weary of breath,
Rashly importunate,
Gone to her death!
Take her up tenderly,
Lift her with care;
Fashioned so slenderly,
Young, and so fair!

সাহিত্যে যুগোত্তীর্ণ দশ যমুনাবতীদের কুর্নিশেই এই লেখা।

দেবী চৌধুরানী:
স্বামীর অপবাদ সহ্য না করে বেরিয়ে এসেছিলেন। সেখানেই শেষ নয়। ডাকাত-কুলের সর্দার হয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। কিন্তু লাস্ট ল্যাপে এসে আর জিততে পারলেন কই? জন্মদাতা বঙ্কিমই শেষপ্রান্তে এসে হারিয়ে দিলেন এই মহিয়সীকে। আসলে দেবী চৌধুরানীকে নয়, স্বামী ঘরে ফিরিয়ে দিয়ে লেখককেই হয়ত নতিস্বীকার করতে হল সমাজের চাপে।
হেলেন অফ ট্রয়:
গ্রিক দেবতা জিউস ও লেডার কন্যা হেলেন। যে সুন্দরীর জন্য শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মানব সভ্যতার দীর্ঘতম যুদ্ধ। হৃত হেলেন পুনুরুদ্ধারের বীরগাথা, ইলিয়ড ওডিসির মহাকাব্যিক পাতার সীমানা ছাড়িয়ে অবিনশ্বর হয়ে গিয়েছে তাঁর চরিত্র।

সীতা:
মহাকাব্যের ট্রাজিক নায়িকা। সতিত্বের প্রমাণে কী অতলান্ত অপমান সহ্য করেছেন জনক কন্যা। দিনের পর দিন সর্বসমক্ষে অগ্নিপরীক্ষার দাবি শুনতে হয় ভূমিকন্যাকে। বাল্মিকীর আশ্রয়ে জন্ম দেন সন্তান্দ্বয়ের। একক মাতৃতওয়ে পালন করেন লব কুশকে। কর্তব্য শেষে ফিরে যান পাতালে, তাঁর নিজভূমে। আত্মবিসর্জন, সাহস এবং দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে থাকবে বাল্মিকীর এই চরিত্র।

অ্যান্তিগোনে:
প্রথম `না` বলার সাহস দেখিয়েছিলেন। রাজার নির্দেশ অমান্য করে ভাইয়ের মৃতদেহের শেষ সম্মান দিতে রাতের অন্ধকারে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সাহসিনী এই বোন। সাহিত্যের আঙিনায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে তাঁর এই `রেবেলগাথা`।
বনলতা সেন:
চুলে তার অমোঘ কালের রাত্রি। রেখাঙ্কিত মুখে শ্রাবস্তির কারুকাজ। হাজার হাজার মাইল হেঁটে আসা ক্লান্ত কবির শান্তির নীড়। বাংলা কবিতার অনন্য অনুপ্রেরণার নাম বনলতা সেন।
আনা কারেনিনা:
তত্কালীন সমাজের প্রথাগত `anglo saxon` হিপোক্রিসি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাধ করে স্বেচ্ছাচারীর তকমা নিয়েছিলেন। সেই সময়ের সম্ভ্রান্ত রুশ সমাজের সামাজিক কর্তব্যপরায়ণতাকে তোয়াক্কা করেননি। অসুখি বিবাহিত জীবনকে ভবিতব্য বলে মেনে না নিয়ে নিজের পথে চলেছিলেন। যদিও সেই পথের শেষে হার মানেন। তাও জীবনের অধিকার যে একান্ত ব্যক্তিগত আনা কারেনিনার চরিত্রায়ণে তারই ব্লুপ্রিন্ট এঁকেছিলেন লিও টলস্টয়।
নন্দিনী
রবি ঠাকুরের নারীরা, এই শীর্ষে প্রবন্ধ এর আগেও অগণিতবার লেখা হয়েছে। অতিব্যবহারের তোয়াক্কা না করে ভবিষ্যতেও যে আরও অগণিতবার হবে সেও বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সেরাদের মধ্যে থেকে উদ্ভাসিত শ্রমিক আন্দোলনের রক্তকরবী শিখা নন্দিনী।
মিস মার্পল:
বুদ্ধি তাঁর শানিয়ে নেওয়া। ছবির মতো সাজানো সেন্ট মেরি মেড-এর ইংলিস কটেজের বাগানে অন্যমনস্ক হাতে গাচের যত্ন নিতেন। দেখে মনে হবেই অবিন্যস্ত বৃদ্ধা (লেখিকার ভাষায় স্ক্যাটি ওল্ড স্পিনস্টার)। গাছ পরিচর্যার নিত্য কর্ম যে তাঁর ছদ্মবেশ তা বোঝা যেত যখন আরামকেদারায় উল বুনতে বুনতে হিমশীতল খুনিকে চিনিয়ে দিতেন অবলিলায়। গোয়েন্দা সাহিত্যের নারীর প্রথম উজ্জবল পদার্পণ আগাথা ক্রিস্টির মিস মার্পল।
দুর্গা:
আন্তেগোনে নিজের জীবন বাজি রেখে ভাইকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে প্রাণ বাজি রেখেছিলেন। দুর্গা কাগজ কেটে ভাইকে রাজার মুকুট পরিয়েছে। মায়ের ওমে আগলে রেখেছে। সরল গ্রামের জীবনের প্রতি মুহূর্ত থেকে অনাবিল আনন্দ সংগ্রহ করে এনেছে ভাইয়ের জন্য। দুর্গা না থাকলে অপু-সাহিতয় অমর হত কি?

হারমায়নি গ্র্যানজর:
একে শিশু সাহিত্য, তায় আবার এই চরিত্র এখনও কালোত্তীর্ণ হয়ে ওঠেনি। বয়েসেও ছোট। স্বভাবতই মহিয়সীদের তালিকায় হারমায়নির নাম দেখে একাধিক ভ্রুকুঞ্চনের সম্ভবনা প্রবল। আসলে, লেখার শেষ প্রান্তে এসে, ক্ষুরধারমতি এই টিন-এজারের অপ্রতিরধ্য বন্ধুত্বপরায়ণতাকে তিলাঞ্জলি না দিলে এই লেখাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে মনে হল।

.