আগ্নেয়গিরির মতো ফাটল অণ্ডকোষ, তারপর...
ওর্সলে বলেন, "১০ দিন এমন অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছিল। দিনে দিনে অণ্ডকোষের আকার বাড়তে থাকে। শরীরে তাপমাত্রাও আকাশছোঁয়া। একদিন স্নান করতে গিয়ে হঠাত্ ওটা ফেটে যায়। বিকট আওয়াজও হয়।"
নিজস্ব প্রতিবদেন: বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে অণ্ডকোষ ফেটে গেল এক বৃদ্ধের। তবে দীর্ঘ চিকিত্সার পর এখন সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
তুনিসিয়ানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক ডেভিড ওর্সলে। সেখানেই সালমোনেলা নামে এক বিরল ব্যাক্টেরিয়ায় আক্রান্ত হন ৫৯ বছরে ওই বৃদ্ধ। ব্রিটেনে নিজের দেশে যখন ফেরেন ওর্সলে, তখন তাঁর শরীর ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যেতে থাকে। প্রচণ্ড বমি শুরু হয়। কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসে। এর মধ্যে শরীরে অদ্ভূত পরিবর্তন লক্ষ করেন ওর্সলে। তাঁর অণ্ডকোষ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। শুরু হয় অসহনীয় যন্ত্রণা। এরপর স্ত্রী জোয়ানি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বল্টন নিউজ নামে এক সংবাদমাধ্যমকে ওর্সলে বলেন, "একদিন অণ্ডকোষে প্রচণ্ড ব্যাথা নিয়ে সকাল ঘুম ভাঙে। যন্ত্রণা এতটাই তীব্র, যে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে।" এমনকী ওর্সলের কথায়, ওই সময় অণ্ডকোষ এত বড় হয়ে গিয়েছিল, যে হাতে নিয়ে ঘুরত হত।
আরও পড়ুন- মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে এলেন পাওলি
ওর্সলে বলেন, "১০ দিন এমন অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছিল। দিনে দিনে অণ্ডকোষের আকার বাড়তে থাকে। শরীরে তাপমাত্রাও আকাশছোঁয়া। একদিন স্নান করতে গিয়ে হঠাত্ ওটা ফেটে যায়। বিকট আওয়াজও হয়।" পরে চিকিত্সক জানান, অনেকটা আগ্নেয়গিরির মতো বিস্ফোরণ হয়েছে ওখানে। সে সময় অসহ্য যন্ত্রণা হলেও অণ্ডকোষ ফেটে যাওয়ার পর স্বস্তি পান বলেই জানিয়েছেন ওর্সলে।
আরও পড়ুন- চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করার ৪ ঘণ্টা পর জেগে উঠল 'মরা'
চিকিত্সক জানিয়েছেন তাঁর ২০ বছরের পেশাদার জীবনে এমন ঘটনা কোনওদিন দেখেননি তিনি। তবে, ওর্সলের একটাই আক্ষেপ 'পুরুষের মূল্যবাণ অঙ্গ'টাই এখন আর তাঁর কাছে নেই।
আরও পড়ুন- পোশাক খুলে উবের চালককে লুটের চেষ্টা তরুণীর