সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি গিলানির, আপাতত ফিরছেন না মুশারফ

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার আদালতে সশরীরে হাজিরা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। জানালেন, শীর্ষ আদালতের প্রতি পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রয়েছে তাঁর। যখনই তাঁকে তলব করা হবে, তখনই সুপ্রিম কোর্টে হাজির হবেন তিনি।

Updated By: Jan 19, 2012, 09:41 AM IST

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার আদালতে সশরীরে হাজিরা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। জানালেন, শীর্ষ আদালতের প্রতি পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রয়েছে তাঁর। যখনই তাঁকে তলব করা হবে, তখনই সুপ্রিম কোর্টে হাজির হবেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি-সহ সে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা শুরু না-করায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছে সুপ্রিম কোর্ট। পরভেজ মুশারফ জমানার বিতর্কিত ন্যাশানাল রিকন্সিলিয়েশান অর্ডিন্যান্স (এনআরও) বাতিল করে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ফের চালু করার জন্য পাক সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে। কিন্তু গিলানির আইনজীবী আইতজাজ এহসানের যুক্তি, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই প্রেসিডেন্ট বিশেষ আইনি রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন। পাকিস্তানের সংবিধানেও প্রেসিডেন্টকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। তাই সাংবিধানিক ভাবে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা চালু করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আদালতের কাছে এক মাস সময় চান পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আদালত তাঁকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে। তবে সেই সঙ্গেই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন গিলানিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেই নিষ্কৃতি দিয়েছে পাক সুপ্রিম কোর্ট। আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হলেও পাক প্রধানমন্ত্রীর জেলযাত্রা না হওয়াকে বড় স্বস্তি বলেই মনে করছে সে দেশের রাজনৈতিক মহল।

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বিশাল কনভয় নিয়ে এদিন আদালতে হাজির হন গিলানি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কায়েদ-ই-আজম)-এর প্রেসিডেন্ট চৌধুরি সুজাত হোসেন, আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির প্রধান আসফান্দিয়ার ওয়ালি খান, মোহাজির কওমি মুভমেন্ট-এর  সংসদীয় নেতা ফারুক সাত্তার, সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ কায়েম আলি এবং হিনা রব্বানি খার, রহমান মালি চৌধুরি পরভেজ ইলাহি'র মতো শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীরা।
অন্যদিকে এদিন গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় আপাতত পাকিস্তানে ফেরার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বেচ্ছা নির্বাসিত প্রাক্তন সামরিক একনায়ক পরভেজ মুশারফ। তাঁর নবগঠিত দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুশারফের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে জানুয়ারি মাসের ২৭ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে দেশে ফেরার কথা ঘোষণা করেছিলেন পরভেজ মুশারফ। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বুধবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রেহমান মালিক সংসদে বিবৃতি দিয়েছিলেন, মুশারফের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা থাকায় পাকিস্তানে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এরপরই মুশারফের প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়।

.