হোয়াইট হাউসের চাপে হাফিজকে নিয়ে 'কড়া' পাকিস্তান!

হাফিজ সইদ তাদের দেশের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে প্রথম মানল পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিপদ স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি হাফিজ ও তার সঙ্গীদের চুয়াল্লিশটি অস্ত্রের লাইসেন্সও বাতিল করেছে পাক প্রশাসন। 

Updated By: Feb 21, 2017, 11:12 PM IST
 হোয়াইট হাউসের চাপে হাফিজকে নিয়ে 'কড়া' পাকিস্তান!

ব্যুরো: হাফিজ সইদ তাদের দেশের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে প্রথম মানল পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিপদ স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি হাফিজ ও তার সঙ্গীদের চুয়াল্লিশটি অস্ত্রের লাইসেন্সও বাতিল করেছে পাক প্রশাসন। 

হাফিজ সইদ। লস্করের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান। মুম্বই হামলার মূল চক্রী। লাহোরে গৃহবন্দি করার পর তাকে জঙ্গি তালিকাতেও ঢুকিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। এ বার আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম স্বীকারোক্তি। মিউনিখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ বললেন, হাফিজ সইদ তাঁদের দেশের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক ব্যক্তি। বৃহত্তর স্বার্থেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

পানামা পেপারে নাম থাকায় চাপে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। জুনে কাজাখস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন তিনি। সূত্রের খবর, দুর্নীতির অভিযোগে আদালত কড়া অবস্থান নেওয়ায় সেনাকেও চটাতেচাইছেন না শরিফ। কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কেন্দ্রে ফেরানর কথা বলেই সেনার সমর্থন আদায় করতে চাইছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাফিজ সইদকে বিপজ্জনক জঙ্গি বলে আপাতত মেনে নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুনজরে আসতে চাইছেন নওয়াজ শরিফ। 

ওয়াশিংটনকে পাশে নিয়ে দিল্লির সঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রে কাশ্মীরকে ফেরত আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। হাফিজ ইস্যু ছাড়াও নানা ক্ষেত্রে গত কয়েকদিনে ইসলামাবাদের নরম সুর কানে এসেছে। ভারতে নিযুক্ত পাক-হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত দু-দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আব্দুল বাসিতের পদোন্নতি না ঘটিয়ে তেহমিনা জানজুয়াকে নতুন বিদেশসচিব পদে নিযুক্ত করেছেন নওয়াজ শরিফ। পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারে দুর্ঘটনা ঘটলে তখনই একে অন্যকে তা জানানো নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের চুক্তির মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়েছে।  

পানামা পেপারের জেরে শরিফের কর্তৃত্ব দুর্বল হলে সুযোগ নেবে পাক সেনা। অতীত ইতিহাস বলছে, ভারত-পাক আলোচনা শুরু হলে পাক সেনার ক্ষমতা খর্ব হয়। আর আলোচনা বন্ধ থাকলে পাক জেনারেলরা মাথায় চড়ে বসেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাপে থাকা শরিফ দিল্লির সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খুলতেই হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে বাধ্য হচ্ছেন। সঙ্গে, হোয়াইট হাউসের নতুন বাসিন্দার চাপ তো আছেই। 

.