শীতে কেঁপে বন্ধুদের উষ্ণতা দিলেন চিনা পড়ুয়া

ছেলেটি পৌঁছল স্কুলে। কিন্তু ক্লাসরুমে ঢুকতেই তাকে দেখে সহপাঠীদের অট্টহাস্য। কেন? চুল ঢেকে গিয়েছে সাদা বরফে! সত্যিই সেদিন ওই খুদেকে দেখে সবারই হাসার কথা। এমন ছবি প্রকাশ পেতে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়াও হেসেছিল।

Updated By: Jan 15, 2018, 09:18 PM IST
শীতে কেঁপে বন্ধুদের উষ্ণতা দিলেন চিনা পড়ুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন: খুদের পেটে খিদে। তবু পেটের দিকে নজর না দিয়ে যতটা সহ্য করা যায়। এমন পণ করেই ৩ মাইল পথ হেঁটেছিল ৮ বছরের এক চিনা বালক। প্রচণ্ড হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। তাপমাত্রা মাইনাস ৯ ডিগ্রির কাছাকাছি। কিন্তু স্কুলে তাকে পৌঁছতেই হবে। ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষার প্রথম দিন যে...

আরও পড়ুন- গাড়ি শূন্য উড়ে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারল দোতলার দেওয়ালে!

ছেলেটি পৌঁছল স্কুলে। কিন্তু ক্লাসরুমে ঢুকতেই তাকে দেখে সহপাঠীদের অট্টহাস্য। কেন? চুল ঢেকে গিয়েছে সাদা বরফে! সত্যিই সেদিন ওই খুদেকে দেখে সবারই হাসার কথা। এমন ছবি প্রকাশ পেতে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়াও হেসেছিল। কিন্তু এর পিছনে যে করুণ একটি গল্প লুকিয়ে রয়েছে, তা জানার পর ওই বালককে স্যালুট জানানো ছাড়া উপায় নেই।

কোন গল্প?

আরও পড়ুন- জাপানি 'যৌন শিক্ষিকা'র বিয়ের খবর শুনেই মন ভেঙেছে চিনের

চিনের উনান প্রভিন্সের শিনজির ওই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফু হেং বলেন, "ছাত্রদের আজই ছিল ফাইনাল পরীক্ষার প্রথম দিন। সকালের তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৯ ডিগ্রিতে।" হেং-র কথায়, তীব্র ঠান্ডায় ৩০ মিনিট হেঁটে স্কুলে আসে ওই বালক। ঠান্ডায় হাত-পায়ের চামড়া কুঁকড়ে গিয়েছে। তত্ক্ষণাত্ তাকে বিভিন্ন উপায়ে গরম করে স্বাভাবিক করা হয়। বাড়িতে ঠাকুমা আর তার ছোট বোনকে নিয়ে থাকে ওই ছাত্র। তবে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই বালকের মতো স্কুলের বাকিরাও খালি পেটে পড়তে আসে । সেদিন ওই বালকের একটি ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষকই।

আরও পড়ুন- 'সেক্সোম্যানিয়াক'! ঘুমের ঘোরে কয়েকশোবার ধর্ষণ করায় অভিযুক্ত তরুণ

ব্যস! ওই চিনা বালকের সৌজন্যে পাল্টে যায় স্কুল-সহ বাকি পড়ুয়াদের জীবনযাত্রাও। প্রথমে ওই বালকের নাম হয়ে যায় 'আইস বয়।' এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রদের নিদারুণ আর্থিক অবস্থার কথা ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য আসতে শুরু করে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ডলার অনুদান এসেছে। এর সঙ্গে ২০টি হিটার এবং  ১৪৪ টি গরমের পোশাক। এ সব পেয়ে পড়ুয়াদের হাসি আরও চওড়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক জানান, সবই 'আইস বয়'-র জন্য।

.