ভারত-পাক ইস্যুতে মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ ভারতের পক্ষ থেকে

মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব কার্যত খারিজ করল ভারত। কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতা করতে চায় আমেরিকা। প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগতভাবে সামিল হতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনই ইঙ্গিত দেন রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। ক্ষুব্ধ দিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই।

Updated By: Apr 4, 2017, 10:24 PM IST
ভারত-পাক ইস্যুতে মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ ভারতের পক্ষ থেকে

ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব কার্যত খারিজ করল ভারত। কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতা করতে চায় আমেরিকা। প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগতভাবে সামিল হতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনই ইঙ্গিত দেন রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। ক্ষুব্ধ দিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই।

কাশ্মীর। ভারত-পাক সম্পর্কে তিক্ততার মূল কারণ। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে বার বার উত্তপ্ত হয়েছে উপমহাদেশ। পাকিস্তান বরাবর কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছে। যদিও ভারতের স্পষ্ট অবস্থান, কাশ্মীর  দুই প্রতিবেশীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। বারাক ওবামার আমলেও দিল্লির অবস্থানকেই সমর্থন করেছে ওয়াশিংটন। কিন্তু শুরু থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামার উল্টো পথে হেঁটেছেন। ভারত-পাক কূটনীতির ক্ষেত্রেও এবার তেমনই ইঙ্গিত।

নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার নওয়াজ শরিফের সঙ্গেও বন্ধুত্বের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ভারত-পাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান ঠিক কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন ট্রাম্প প্রশাসনের একমাত্র ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য নিকি হ্যালি। রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন দুতের মতে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক সম্পর্কে মধ্যস্থতা করতে হস্তক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা।

ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে প্রশাসন উদ্বিগ্ন। কোনও বড় ঘটনা ঘটা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত হবে না। এখন যেভাবে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে, তাতে আমাদের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। এই প্রক্রিয়ায় শুধু ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলই নয়, স্বয়ং প্রেসিডেন্ট সামিল হতে পারেন।

এই প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও শীর্ষকর্তা কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার কথা বললেন। ওয়াশিংটনের এই প্রস্তাবে ভারত যে ক্ষুব্ধ তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। সন্ত্রাস ও হিংসামুক্ত পরিবেশেই ভারত-পাক সংক্রান্ত সব ইস্যুর দ্বিপাক্ষিক স্তরে সমাধান করতে হবে, ভারত সরকারের এই অবস্থান অপরিবর্তিতই রয়েছে।
আমরা অবশ্যই আশা করি, পাক ভূমি থেকে যে সন্ত্রাসবাদ উঠে আসছে এবং যে সন্ত্রাসবাদ আমাদের অঞ্চল ও তার বাইরেও সবচেয়ে বড় বিপদ, সেই সন্ত্রাসবাদকে ঠেকাতে আন্তর্জাতিক শক্তি ও সংগঠনগুলি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, আগামিদিনে এই ইস্যুতে দিল্লি-ওয়াশিংটন চাপানউতোর বাড়বে। (আরও পড়ুন- অরুণাচলে দলাই লামার সফর; ভারতকে ফের হুমকি দিল চিন!)

.