কাশ্মীর নিয়ে নিজের দেশের লেবার পার্টিকে 'হিন্দুবিরোধী' বলে তুলোধনা ব্রিটেনের শাসকদলের

রবিবার টুইট করে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন জেরেমি করবিন। তাঁর অভিযোগ, কাশ্মীরের পরিস্থিতি সত্যি উদ্বেগের

Updated By: Aug 14, 2019, 02:44 PM IST
কাশ্মীর নিয়ে নিজের দেশের লেবার পার্টিকে 'হিন্দুবিরোধী' বলে তুলোধনা ব্রিটেনের শাসকদলের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পাশে রয়েছে ব্রিটেন। আগেই জানিয়েছিল বরিস জনসনের মন্ত্রক। তবে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলে চাপান-উতর তৈরি হয়েছে, যা নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিনের কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন কনজ়ার্ভেটিভ পার্টির নেতা বব ব্ল্যাকম্যান। তিনি জানান, কাশ্মীর সমস্যা অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে নাক গলানো উচিত নয় তৃতীয় পক্ষের।

রবিবার টুইট করে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন জেরেমি করবিন। তাঁর অভিযোগ, কাশ্মীরের পরিস্থিতি সত্যি উদ্বেগের। মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সেখানে। যা গ্রহণযোগ্য নয়। কাশ্মীরের মানুষের অধিকারকে সম্মান করার উচিত। জেরেমির দাবি,  রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবনা কার্যকর করা উচিত জম্মু-কাশ্মীরে। এ প্রসঙ্গে শাসক দলের নেতা তথা বরিস জনসন ক্যাবিনেটের মন্ত্রী বব ব্ল্যাকম্যান পাল্টা বলেন, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। জেরেমিকে তিনি মনে করিয়ে দেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। তাদের ইস্তাহারে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের প্রস্তাব ছিল। যা দ্বিতীয়বার সরকারে এসে কার্যকর করেছে। এছাড়া বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এখানে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। এমনকি জেরেমিকে একহাত নিয়ে ব্ল্যাকম্যান বলেন, লেবার পার্টি হল  ভারতবিরোধী, হিন্দু বিরোধী দল।

আরও পড়ুন- ধর্ম নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য, জাকির নায়েককে বিতারিত করার দাবি মালয়েশিয়ায়

উল্লেখ্য, পাকিস্তানই চেয়েছে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে আমেরিকার মধ্যস্থতা। কিন্তু সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণা অনুযায়ী ভারত কোনওদিনই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চাইনি। এবারেরও যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতায় ইচ্ছাপ্রকাশ করেন, মুখের উপর জবাব দিয়ে দেয় ভারত। এরপরই অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় মোদী সরকারকে। এর ফলে কাশ্মীর নিয়ে কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। এখনও পর্যন্ত কাউকে সেভাবে কাছে পায়নি যে ভারতের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ জানাতে পারে ইসলামাবাদ।  

.